আগামী ২২ সেপ্টেম্বর হাসান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরুর দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার এ আদেশ দেয়।
ট্রাইব্যুনাল এদিন রাষ্ট্রীয় খরচে হাসান আলীর আইনজীবী হিসেবে আব্দুস শুকুর খানকে নিয়োগ দিয়েছে।
গত ২১ আগস্ট ট্রাইব্যুনালে হাসান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ। ২৪ অগাস্ট অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
একই দিনে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেওয়া হয়। পরে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয় প্রসিকিউশন।
গত ৩ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত ২৯ জুন হাসান আলীর বিরুদ্ধে একাত্তরে নির্যাতন, অপহরণ, হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শেষ হয়।
হাসান আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুট, আটক ও নির্যাতনসহ ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ জনকে হত্যা, ১২ জনকে অপহরণ ও আটক এবং ১২৫টি ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে।
গত বছরের ৬ জুন থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন হাসান আলী। সে সময় তিনি তাড়াইল থানা এলাকায় ‘রাজাকারের দারোগা’ নামে পরিচিত ছিলেন।
সৈয়দ হাসান আলীর বাবা সৈয়দ মোসলেম উদ্দিন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এবং কিশোরগঞ্জ মহকুমা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
বাবার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানা রাজাকার কমান্ডার হিসেবে নিয়োজিত হন সৈয়দ হাসান আলী। হাসান আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাছিহাতা গ্রামে বসবাস করতেন বলে জানান প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ।