পূর্বাবস্থায় ফিরবে সুচিত্রা সেনের বাড়ি

সুচিত্রা সেনের পাবনার পৈতৃক বাড়িটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2014, 04:37 PM
Updated : 15 Sept 2014, 04:37 PM

সোমবার এ অধিদপ্তর বগুড়া কার্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল বাড়িটি পরিদর্শন ও নকশা যাচাইবাছাই শেষে এ তথ্য জানায়।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানকারী প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বগুড়া কার্যালয়ের পরিচালক বদরুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বাড়িটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছে। এ কারণে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রকৌশলীদের নিয়ে তিনি বাড়িটি পরিদর্শনে আসেন।

প্রকৌশলীরা বাড়িটির বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেছেন ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

পরিদর্শ শেষে তাদের ধারণা, বাড়িটির অনেক কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। মূল ভবনটির ছাদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে ভবনটির ছাদ তৈরিসহ নতুন করে অনেক কাজ করতে হবে।

বদরুল আলম আরো জানান, প্রাথমিকভাবে প্রকৌশলীরা একটি বাজেট তৈরির কাজ শুরু করেছেন। বাজেটটি তৈরি হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে পাবনার সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি এম সাইদুল হক চুন্নু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “সম্প্রতি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়েরর মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বাড়িটিতে পরবর্তী করণীয় বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

এছাড়া সুচিত্রা সেনের মেয়ে মুনমুন সেন ও নাতনিরা পাবনায় আসার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।

ফলে সংস্কৃতি বিষয়কক মন্ত্রণালয় খুব দ্রুত বাড়িটির প্রাথমিক সংস্কার কাজ শুরুর তাগিদ অনুভব করছে।

“আশা করছি, আগামী নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক সংস্কার কাজ শেষ হবে। এরপর স্মৃতি সংগ্রহশালার কাজ শুরু হবে,” বলেন তিনি।

পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেম সাগর লেনের এ বাড়িতে সুচিত্রা সেন বাবা-মা ও ভাই-বোনের সঙ্গে শৈশব-কৈশোর কাটিয়েছেন। ১৯৪৭ সালে নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তার বিয়ে হয়। এরপর তিনি স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় বসবাস করেন। পরবর্তী সময় ওই বাড়িটি ইমাম গাজ্জালি ট্রাস্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান লিজের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় তারা বাড়িটিতে কিছু পরিবর্তন আনে। পরে পাবনাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন বাড়িটির লিজ বাতিল করে।

শেষ পর্যন্ত নানা আইনি জটিলতা শেষে গত ১৭ জুলাই পাবনা জেলা প্রশাসন বাড়িটির নিয়ন্ত্রণে নেয়।