ছাত্রী সংস্থার ২৪ কর্মী অভিযুক্ত

পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২৪ জন কর্মীর বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2014, 11:25 AM
Updated : 15 Sept 2014, 11:25 AM

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আতাউল হক সোমবার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর দিন রেখেছেন।

আসামিদের মধ্যে ২০ জনের পক্ষে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হলেও বিচারক তা নাকচ করে দেন।

ইসলামী ছাত্রী সংস্থার কর্মীদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদনের শুনানি করেন আব্দুর রাজ্জাক ও কামাল উদ্দিন।

বাকি চার আসামি এদিন আদালতে হাজির না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।

এই চারজন হলেন- ফাতিমা ফারহানা, সুমাইয়া সিদ্দিকা, সালমা নাসরিন ও আয়েশা আক্তার।

অভিযুক্ত বাকি ২০ জন হলেন- তানজিনা বিনতে খায়ের, ফারজানা আক্তার লুনা, শামসুন্নাহার, ফাতেমা জান্নাত, আতিয়া জাহান, সুবাইতা সারা, মমতা হেনা, ফারহানা আক্তার, ফারজানা বেগম, হাফিজা সিদ্দিকা, শামিমা আক্তার, উম্মে হাবিবা, সুমাইয়া আফরোজ, জাকিয়া খান মুন্নি, নুর জাহান আক্তার, মারজানা আক্তার, সুমাইয়া খাতুন, রওনক জাহান, মাহবুবা ইসলাম ও ইসরাত জাহান ইমা।

অভিযোগ গঠনের আগে বিচারক অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে আসামিদের কাছে জানতে চান- তারা দোষী না নির্দোষ।  

২০ আসামির সবাই এ সময় নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

খিলগাঁও থানায় দায়ের করা এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা গত ১৮ জুন রাজধানীর গোড়ান এলাকার একটি বাসায় ‘নাশকতার পরিকল্পনা’ করার সময় পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। ইসলামী ছাত্রী সংস্থার এই কর্মীরা সে সময় ঢিল ছোড়ে এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

খিলগাঁও থানা পুলিশ ওই ২৪ জনকে আটক করার পর দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করে।

তদন্ত শেষে খিলগাঁও থানার এসআই শেখ মো. কামরুজ্জামান দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারায় গত ২৬ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেন।