ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটি বিলুপ্ত

ট্রেনে দুপক্ষের মারামারির পর বগি থেকে পড়ে এক ছাত্রলীগকর্মীর মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2014, 02:51 PM
Updated : 1 Sept 2014, 02:51 PM

সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল জানান, সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার কমিটি বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নেয়।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি থাকায় তা বিলুপ্ত করা হয়েছে।

“পরবর্তী কমিটি না হওয়া পর্যন্ত সেখানে ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা সেখানে যাবেন। নতুন কমিটি করার জন্য তারা জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করবেন।”

ট্রেনে বিরোধের জেরে ছাত্রলীগকর্মীর মৃত্যুর কারণে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ রাসেল বলেন, “সব মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রেনে কিছু সমস্যা হতে পারে।”

রোববার গভীর রাতে ঢাকায় ছাত্রলীগের সমাবেশ শেষে চট্টগ্রামে ফেরার পথে গাজীপুরের নিমতলি স্টেশনে ট্রেন থেকে পড়ে মারা যায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগকর্মী তরিকুল ইসলাম (২০)।

তরিকুলকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয় কি না জানতে চাইলে দপ্তর সম্পাদক, “দুর্ঘটনা না কি ধাক্কা দিয়ে ফেলা হয়েছে তা খোঁজ নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি আমরা পুরো‍পুরি জানি না। এটি সাংগঠনিকভাবে তদন্ত করা হবে।”

উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সাকিবের দাবি, ট্রেনে সাতকানিয়া ছাত্রলীগের এক পক্ষের সঙ্গে বিরোধের জেরে তরিকুলসহ তিনজন ট্রেন থেকে নেমে যায়।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরে অন্য বগিতে ওঠার চেষ্টা করলে একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এতে তিনজনই গুরুতর আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তরিকুল মারা যান।”

তবে লোহাগাড়া ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দুপক্ষের মারামারির পর তরিকুলসহ তিনজনকে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়।

এঘটনায় আহত অন্য দুজন সাহেদ ও রিটন লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী।

এর আগেও ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে কেক কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে নগরীর আন্দরকিল্লায় দুপক্ষের বিরোধী নিহত হন দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা জনি।