তবে, বিজিবি বলছে বিএসএফের নির্যাতনে নয়, হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে।
মৃত আহাদ আলী (৩২) সাতক্ষীরা সদরের ছয়গড়িয়া গ্রামের উজির আলীর ছেলে।
তিনি জানান, শনিবার রাতে ৪/৫ জনের একটি দল ভারত থেকে গরু নিয়ে ফেরার সময় কৈজুরী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে আহাদকে ধরে ফেলে।
এরপর মারধর করে ও কুপিয়ে সীমান্ত এলাকার জঙ্গলে ফেলে দেয় বিএসএফ।
পরে সেখান থেকে তার সঙ্গীরা আহাদকে উদ্ধার করে ছয়গড়িয়া গ্রামে নিয়ে আসার পর তার মৃত্যু হয়।
চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আরো জানান, বিএসএফের নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে বলা হলে লাশ নিয়ে ঝামেলা হতে পারে আশংকায় পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বিজিবির কাছে স্বীকার করছে না।
ঝাউডাঙ্গা ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান জানান, তিনি নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন।
এদিকে সাতক্ষীরায় বিজিবি-৩৮ ব্যাটালিয়নের ভারাপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর নজির আহমেদ বকশি জানান, আহাদ বিএসএফের নির্যাতনে নয় হার্টের অসুখে মারা গেছেন।
তিনি বলেন, "আমরা ঘটনা শুনে নিহতের বাড়িতে খোঁজ নিতে লোক পাঠিয়েছিলাম। আহাদ ভারতেই যাননি, হার্টের অসুখে তিনি মারা গেছেন বলে পরিবার সদস্যরা আমাদের বলেছেন।"
তিনি আরো জানান, “এ ব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে ঘটনা সম্পর্কে কৈজুরী ক্যাম্পে জানতে চাইলে তারাও তা অস্বীকার করেন।"