মগবাজারে ৩ খুন: দুই আসামির ৫ দিনের রিমান্ড

মগবাজারে তিন খুনের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2014, 11:40 AM
Updated : 3 Sept 2014, 08:58 AM

আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মাহমুদুর রহমান জানান, শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. ইরফান উল্লাহ রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম মিয়া আসামি ফারুখ ও সোহেলকে আদালতে হাজির করে নয়দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন।

অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।

এসআই মাহমুদুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিচারক দুপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন বাতিল করে দুই আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জামিনের আবেদনে বলা হয়, দুই আসামি লন্ড্রি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।  তারা এই হত্যার ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নন। শুধু সন্দেহের বশে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।  তাদের জামিন দেওয়া হোক।

অন্যদিকে রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, দুই আসামি হত্যার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত বলে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।  হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে ও মূল হোতাদের সম্পর্কে তথ্য পেতে তাদেরকে নয়দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

শুক্রবার গভীর রাতে মগবাজার এলাকা থেকে এই আসামিকে আটক করা হয়। তারা হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কালা বাবুর অন্যতম সহযোগী বলে জানিয়েছে এই পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মগবাজারের নয়াটোলা এলাকার সোনালীবাগে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বৃষ্টি আক্তার রানু (৩০), ভাড়াটিয়া মুন্না (২২) ও বিল্লাল হোসেনকে (২০) গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

ওই হামলায় আহত রানুর ভাই হৃদয় (১৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এঘটনায় শুক্রবার রাতে ১৫ জনকে আসামি করে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত রানুর ভাই শামিম ওরফে কালা চাঁন।

গ্রেপ্তার দুজন ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- কালা বাবু, ফয়সাল আহমেদ রনি, শাহাদাত, রাজু, তপু, আরিফ, মারুফ, বিল্লাল, ঠাণ্ড, সিরাজ, পিচ্চি রনি ও জনি।

মামলার বাদী কালা চাঁন মগবাজার রেলওয়ে ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

মামলা দায়েরের আগে শুক্রবার সকালে সোনালীবাগের এক বাসা থেকে আসামি কালা বাবুর দুই চাচিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।