শিশু-কিশোরদের জন্য বিশ্বের প্রথম বাংলা সংবাদ পোর্টাল ‘হ্যালো’র সাংবাদিক উৎসবের অংশ হিসাবে শুক্রবার রাজশাহীতে আয়োজিত শুভার্থী সভায় অংশ নিয়ে তিনি বললেন, এই পেশা মেধাবীদের দখলে থাকতে হবে।
“সাংবাদিকতা এতোদিন বড়দের দখলে ছিল। এখন ছোটদের মাঝে যে উদ্দীপনা দেখলাম তাতে আমি আশাবাদী- একদিন তারাই এ জাতির আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে দেবে সারা বিশ্বে। নিজেদের অধিকার আদায়ে তাদের লেখনি বড় ভূমিকা রাখবে।”
সম্প্রতি গাজায় শিশু নির্যাতনের কথা তুলে ধরে হাসান আজিজুল হক আগামী দিনের সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “সাংবাদিকতা একটি শক্তশালী পেশা। আজ তোমাদের কথা কেউ শুনতে না চাইলেও শিশু সাংবাদিকতায় তোদের কথা পুরো জাতি জানবে।”
একুশে পদক পাওয়া এই সাহিত্যিক ‘হ্যালো’র এই উদ্যোগের জন্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, শিশুদের বিকাশের জন্য সবার আগে পরিবারের সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে। তাদের সন্তানদের প্রতিভার বিকাশে সহায়তা করতে হবে।
“শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে, কিন্তু উন্নতি হয়নি বিবেকের। উন্নতি হয়নি আমাদের মেধার। সেই মেধার উন্মেষ ঘটাতে শিশু সাংবাদিকতা বিরাট ভূমিকা রাখবে।”
চলতি বছর 'হ্যালো'র সাংবাদিক বাছাই কার্যক্রম শুরু হয় গত ২২ অগাস্ট। ‘আমার কথাও যাবে বহুদূর’ স্লোগানে ২৩ জেলায় একযোগে এ কর্মসূচি চলছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নেয়া এই উদ্যেগে এবার গ্রামীণফোনও অংশীদার।
রাজশাহীতে হ্যালো’র সঙ্গে কাজ করতে গত ২২ অগাস্ট লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয় নগরীর ১৪টি স্কুলের ১১৭ জন শিক্ষার্থী। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২১জন শিক্ষার্থী গত ২৭ ও ২৮ অগাস্ট কর্মশালায় অংশ নেয়।
শুক্রবার শুভার্থী সভার পর ১১৭ জন শিশু সাংবাদিকের হাতে তুলে দেয়া হয় স্মারক। সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন রাজশাহীর সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পারাবার’ এর শিল্পীরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের রাজশাহী প্রতিনিধি বদরুল হাসান লিটন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এস এম নাদিম মাহমুদ।