আগ্রাবাদ হোটেলের সাবেক চেয়ারম্যানের জামিন

টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের ( দুদক) করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন আগ্রাবাদ হোটেলের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ খোরশেদ আলী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2014, 03:06 PM
Updated : 27 August 2014, 03:06 PM

বুধবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান এ আদেশ দেন।

এ মামলায় গত ২১ অগাস্ট খোরশেদ আলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন একই বিচারক।

দুদকের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালতে আত্মসমর্পণের পর এইচ খোরশেদ আলী গত ধার্য তারিখগুলোতে হাজির না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেন।

“আসামির পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, এইচ খোরশেদ আলীর আগের আইনজীবী আবু ছালেহ মারা যাওয়ায় মামলাটিতে উচ্চ অদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও আবার শুনানি শুরুর বিষয়টি তিনি জানতেন না। তাই তিনি ধার্য তারিখগুলোতে আদালতে হাজির হতে পারেননি।”

পরে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে তিনি জামিন পান, বলেন আইনজীবী মেজবাহ।

‍মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পূবালী ব্যাংকের সাবেক এজিএম মো. জসিম উদ্দিন ও গালফ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েটসের পরিচালক করিমুল হাসান।

১৯৮৮ সালের ১০ মে খোরশেদ আলী আট হাজার মেট্রিক টন চাল আমাদানির জন্য করিমুল হাসান পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুটি ভুয়া ইনডেন্ট ইস্যু করেন।

ঋণপত্রে উল্লেখিত চাল আমদানি না করে পাঁচ কোটি ৮৫ লাখ ১৯ হাজার দুইশ টাকা ব্যাংক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের যোগসাজোশে আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় ১৯৯১ সালের ২৮ ডিসেম্বর সেসময়ের দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে আমির হোসেন ও ছলিম উল্লাহ নামের দুই জনকে অভিযোগপত্রে অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি।

এই মামলায় ১৯৯৪ সালে তদন্ত শেষে দণ্ডবিধির ৪৭, ৪০৯, ৪২০, ৪৬৮ ও ১০৯ ধারায় এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় একটি এবং মানি লণ্ডারিং আইনের ২৩ ধারায় আরেকটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

১৯৯৬ সালে তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর আসামিরা উচ্চ আদালতে রিভিশন আপিল করলে ১৯৯৮ সালের ১০ মার্চ মামলটি স্থগিতের আদেশ দেয়া হয়।

২০১২ সালের ১১ অক্টোবর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর চলতি বছরের এপ্রিলে শুনানি শুরু হয়। সেই থেকে মোট ছয় কার্য দিবসে আসামিরা উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।