অন্তু বড়ুয়া জখম: ১৩ শিবিরকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াতের হরতালে ককটেল বিস্ফোরণে স্কুলছাত্রী অন্তু বড়ুয়া আহতের ঘটনায় জামায়াত ইসলামী ও তার অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের ১৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2014, 06:39 AM
Updated : 21 August 2014, 12:03 PM

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই মো. কামারুজ্জামান বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র তিনটি জমা দেন।

আদালত পুলিশের সহকারী কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য, বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ও ৩২৪ ধারায় এসব অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।

শিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সাবেক সভাপতি আ স ম মাসরুর হোসাইনসহ ১৩ জনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে।

গত বছর ২৮ মার্চ সকালে হরতাল চলাকালে বন্দরনগরীর মোমিন রোডের হেম সেন লেইনের মুখে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ছাত্রশিবিরের কর্মীরা।

এতে অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী অন্তু বড়ুয়া ডান চোখের পাশে গুরুতর আঘাত পায়। ওই রাস্তা দিয়েই মায়ের সাথে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল ১৪ বছর বয়সী অন্তু।

এ ঘটনায় পুলিশ বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহারে ছাত্রশিবির নেতা মাসরুরসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে মোট ৩৮ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে পুলিশ যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে তারা হলেন- ইসলামী ছাত্র শিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর (উত্তর) শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি নুরুল আমিন (৩৫), সদস্য আলতাফ হোসেন (৩২), মহানগর দক্ষিণের সদস্য সোহেল রানা (২৬), চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি তারেক হোসেন (২৮), নগরীর কোতোয়ালি থানা জামায়াতের আমির ফয়সাল মোহাম্মদ ইউনুস (৪০), চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাওলানা ফেরদৌস কোরেশী (৪২), শিবিরের সাথী আমজাদ আলী (২০), দোলোয়ার হোসেন (২৮), মঞ্জুর আলম (২২), কফিল উদ্দিন (১৮), মিজানুর রহমান (২১), মহানগর উত্তর শিবিরের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক আ স ম মাসরুর হোসাইন (৩১) এবং আ ন ম হারুণ (৩৮)।

এছাড়া শিবিরের মহানগর দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি মো. মহিউদ্দিন (৩০) ও জালাল আহাম্মদকে (২৫) মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে। 

ঘটনার সময় ধারণ করা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

১৩ আসামির মধ্যে মাসরুর ও হারুণ ছাড়া সবাই কারাগারে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে আমজাদ আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং অন্যদের নাম জানায়। 

আহত স্কুল ছাত্রী অন্তু বড়ুয়ার মা শিল্পী বড়ুয়া, বাবা অঞ্জন বড়ুয়াসহ ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।