বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এই পাঁচ কিশোর হলো- সাতক্ষীরার আশাশুনির চিলেডাঙ্গা গ্রামের শামিম রেজা (১৭), কালিগঞ্জের ওজাইলমারী গ্রামের বিশ্বজিৎ হালদার (১৮) এবং নওগার মাদারিপুর গ্রামের অনন্ত দাস (১৬), দিলিপ দাস (১৮) ও শিতল দাস (১৭)।
বন্দর থানার ওসি অপূর্ব হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে পাঁচ কিশোরকে মহিলা আইনজীবি সমিতির প্রতিনিধির হাতে তুলে দেয়া হবে। সমিতি কর্তৃপক্ষই তাদের স্বজনদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির যশোরের কাউন্সিলর নূরুন্নাহার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ভাল চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দালালরা অবৈধ উপায়ে এই কিশোরদের ভারতে পাচার করে।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় গিয়ে কাজের সন্ধানে ঘোরাঘুরির সময় পুলিশের হাতে আটক হয় ওই পাঁচজন। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় আদালত তাদের তিন বছর কারাদণ্ড দেয়।
সাজা শেষে কলকাতার ‘আড়িয়াদহ ধ্রুব আশ্রম’ ওই পাঁচজনকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে দুদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।