এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি লিখিত আবেদন করবেন বলে বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
মানিক বৈরাগী বলেন, “বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে নেয়া হয়। রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ আমার উপর ভয়াবহ ও বর্বর নির্যাতন চালায়।”
এতে কোমর, হাত ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত পান জানিয়ে তিনি বলেন, “তখন কারাগারে আমার কোনো চিকিৎসাও হয়নি।”
মানিক বৈরাগীর চিকিৎসার জন্য ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়। সেই অর্থে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।
“কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার আগেই আমাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তখন আমি কক্সবাজারের বাড়িতে চলে যাই,” বলেন কবি মানিক।
এর মধ্যে আবারো শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ও যন্ত্রণা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও খেলাঘরের কয়েকজনের সহায়তায় কক্সবাজারে চিকিৎসা নেন মানিক।
বর্তমানে তিনি ঢাকার মগবাজারের কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
মানিক বৈরাগী বলেন, “এই হাসপাতালের পরিচালক ডা. কাজী কামারুজ্জামান আমাকে দ্রুত বিদেশে বিশেষ করে মাদ্রাজে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণের আর্থিক সঙ্গতি আমার নেই।”
এর আগে এক বিবৃতিতে কবি মানিক বৈরাগীকে সহায়তার আহ্বান জানান কবি সৈয়দ শামসুল হক, মুহম্মদ নুরূল হুদা ও হাবিবুল্লাহ সিরাজীসহ কয়েকজন লেখক।