ব্যবসায়ীর মুখ কেটেছেন ‘এনএসআই কর্মকর্তা’

শেরপুর শহরে এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে এক এনএসআই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2014, 01:16 PM
Updated : 26 July 2014, 01:16 PM
শনিবার গৌরীপুর এলাকায় এ ঘটনার জেরে জনতা ওই এনএসআই কর্মকর্তাকে পিটুনি দেয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে আসায় সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত পাঁচ জন আহত হন।

আহত ব্যবসায়ী আবু সাঈদ শামীম শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী সদস্য।

অপর আহতদের মধ্যে রয়েছেন এনএসআইয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্রাম হোসেন, পুলিশের এএসআই রবিউল ইসলাম, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মুকুল হোসেন ও ব্যবসায়ী শামীমের স্ত্রী মিতু বেগম।

শামীমকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা ওই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান মিয়া ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এনএসআই কর্মকর্তা রিকশা ভ্যানে করে একটি রিফ্রিজারেটর গৌরীপুরের বাসার সামনে নামাচ্ছিলেন।

এ সময় রাস্তা দিয়ে ব্যবসায়ী শামীম প্রাইভেট কারে বাসায় ফিরছিলেন।

এএসপি বলেন, “রাস্তায় সাইড দেয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এনএসআইয়ের সরকারী পরিচালক আক্রাম হোসেন ব্যবসায়ী শামীমের গালে চুরিকাঘাত করেন।”

তবে শামীম ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, চাঁদা দাবি করে না পেয়ে রাস্তায় প্রাইভেট কারের গতিরোধ করে ক্ষুর দিয়ে শামীমের গালে আঘাত করেছেন এনএসআই কর্মকর্তা।  

শামীমের বড় ভাই ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এসএম ওয়ারেছ নাঈম জানান, “আমার ভাইকে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আমরা ওই এনএসআই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

এ ব্যাপারে এনএসআই কর্মকর্তা আক্রাম হোসেন বলেন, “চাঁদাবাজির অভিযোগ সত্য নয়। শামীমের বাড়ির সামনে একটি রিকশা ভ্যান দাঁড়ানো নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে শামীম ও তার স্ত্রী আমার উপর হামলা চালায় এবং স্থানীয় লোকজন ডেকে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।”

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান বলেন, “এনএসআই কর্মকর্তাকে আমরা আপাতত আটক করে থানায় রেখেছি। এ বিষয়ে এজাহার দাখিল করা হলে আইনগত দিক পর্যালোচনা করে মামলা গ্রহণ করা হবে।”

এ বিষয়ে শেরপুরের এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের খান বলেন, “ঘটনাটি যচাইবাছায় করে দেখছি, আসলে কি ঘটনা ঘটেছিল। আমার কর্মকর্তা কোনো অপরাধ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”