শুল্ক বিভাগের সহকারী কমিশনার ইশরাত জাহান রুমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রোববার বিকাল পৌনে ৫টায় ব্যাংকক থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি চালান তারা। ওই বিমানের টয়লেটে পাওয়া যায় ২৭০টি সোনার বার।
এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলী (৫০) ও মো. শরীফ (৩০) নামে দুই যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইশরাত জানান, উদ্ধার করা সোনার বারগুলোর ওজন ৩২ কেজি, যার বাজার মূল্য অনুমানিক ১৬ কোটি টাকা।
এর আগে শনিবার মধ্যরাতের পর আলাদা ফ্লাইটে আসা দুই ব্যক্তির কাছে পাওয়া যায় ১০ কেজি ওজনের ৫৮টি সোনার বার।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার উম্মে নাহিদা আক্তার জানান, কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে শনিবার রাত ৩টার দিকে দুবাই থেকে ঢাকায় আসেন মোহাম্মদ ইকবাল (৩২) নামের এক যাত্রী।
“গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তার শরীর ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ৫০টি সোনার পাওয়া যায়।”
বারগুলোর মোট ওজন ৫ কেজি ৮৩০ গ্রাম, যার আনুমানিক দাম ২ কোটি ৯১ লাখ টাকা বলে নাহিদা জানান।
তার আগে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রাত দেড়টার দিকে ঢাকায় আসা আমিরুল ইসলাম (২৭) নামের এক যাত্রীর কাছে পাওয়া যায় চার কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের আটটি সোনার বার।
সহকারী কমিশনার সম্প্রীতি প্রামাণিক জানান, আমিরুলের কাছে পাওয়া স্বর্ণের দাম প্রায় দুই কোটি টাকা।
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ঢাকার শাহজালাল ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রায়ই বিভিন্ন উপায়ে আনা ‘সোনার চালান’ আটক করছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তবে এর পেছনে মূল হোতা কারা- সে রহস্য এখনো পুলিশ উৎঘাটন করতে পারেনি।