এসব জলাধারের বেশির ভাগে এলাকাতেই দ্রবীভূত অক্সিজেন প্রয়োজনীয় মাত্রার চেয়ে কম পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের নদীসহ বিভিন্ন জলাধারের পানির নমুনা পরীক্ষায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল তুলে ধরেন সংগঠনের সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক আবদুস সোবহান।
তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীর ৩৬টি স্থান থেকে পানির নমুনা পরীক্ষায় ফিসারিঘাট এলাকা অংশে প্রতি লিটারে সবচেয়ে কম ৩ দশমিক ৩৭ মিলিগ্রাম দ্রবীভূত অক্সিজেন পাওয়া গেছে।
পানিতে মাছের জন্য প্রতি লিটারে ৫ মিলিগ্রাম এবং সুপেয় পানির জন্য প্রতি লিটারে ৬ মিলিগ্রাম দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোবহান জানান, কিন্তু হালদা নদীর যে স্থান থেকে ওয়াসা পানি সংগ্রহ করে সেখানে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমান ৫ দশমিক ২৭ মিলিগ্রাম।
প্রতিটি ক্ষেত্রে পিএইচ সহনীয় মাত্রায় পাওয়া গেলেও দ্রবীভূত অক্সিজেন ২০টি স্থানে সহনীয় মাত্রা অপেক্ষা কম পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, ১০টি খালের মধ্যে ফিসারিখালে দ্রবীভূত অক্সিজেন পাওয়া গেছে প্রতি লিটারে সর্বনিম্ন দশমিক ০৭ মিলিগ্রাম। এছাড়া সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে গুপ্ত খালে ৩ দশমিক ৬৪ মিলিগ্রাম।
নগরীর নয়টি দীঘির মধ্যে বায়েজিদ বোস্তামি মাজার পুকুর, আসকার দিঘী, মুন্সি পুকুর ও আগ্রাবাদ ডেবায় ভয়াবহ দূষণের আলামত পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
সোবহান জানান, এদিকে ফলমূলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফরমালিন পাওয়া গেছে সফেদায়।
এরপর আঙ্গুর, আনারস এমনকি গাজরেও ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, সাংবাদিক এম নাসিরুল হক ও মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মাকসুদ।