শাবির শিক্ষক নাছিরের বরখাস্তের দাবিতে ধর্মঘট

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক শিক্ষকের স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2014, 11:26 AM
Updated : 23 April 2014, 11:39 AM

বুধবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র শরিফুল ইসলাম বুলবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিন্ডিকেটের পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আজ আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি।

“প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ায় বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ছাত্র ধর্মঘট পালন করা হবে।”

এদিকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাছির উদ্দিনকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

পরে ১টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে ধর্মঘটের ডাক দেন।

এই সময় ধর্মঘটের সমর্থনে বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে গণসংযোগও করেন তারা।

গত ২৯ মার্চ লোকপ্রশাসন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন ওই বিভাগের কর্মচারী আবু সালেহ। এরপর ওই ছাত্রীকে নিয়ে নানা কটূক্তি করেন সহকারী অধ্যাপক নাছির উদ্দিন। পরদিন তাদের দুজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।

এছাড়া চতুর্থ বর্ষের শিক্ষা সফরে শিক্ষক নাছির উদ্দিন, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান ও কর্মচারী আবু সালেহ শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করেন বলে গত ৮ এপ্রিল ওই বর্ষের আট ছাত্রী অভিযোগ করেন।

এরপর ঘটনা খতিয়ে দেখতে দুটি কমিটি করে প্রশাসন।

মঙ্গলবার সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে লোকপ্রশাসন বিভাগের কর্মচারী আবু সালেহকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়। শাস্তি হিসেবে ওই বিভাগের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতিকুর রহমানের পদ অবনতিও হয়।

আর সহকারী অধ্যাপক নাছির উদ্দিনকে এক বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে সহকারী অধ্যাপক নাছির উদ্দিনের স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে রাতেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

ওই শিক্ষককে স্থায়ী বরখাস্ত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এরইমধ্যে লোক প্রশাসন বিভাগের প্রধান আনোয়ারা বেগম পদত্যাগ করেছেন।