সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সরকারের অনেক কাজ উপযুক্ত জনবলের অভাবে বিলম্বিত হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “জনবল নিয়োগের কয়েকটি স্তর রয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পদ সৃষ্টি করতে হয়। আরেকটি স্তর হচ্ছে নিয়োগ, নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেক সময়সাপেক্ষ।
“পদ যদি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি হয় তাহলে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ প্রয়োজন হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদের জন্য প্রতিষ্ঠান নিজেরাই নিয়োগ করতে পারে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পিএসসির সক্ষমতা না বাড়লেও কাজ অনেক বেড়েছে। চাকরি প্রার্থীর সংখ্যাও অনেক বেড়েছে।
“পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ ত্বরান্বিত করতে একটি অনুশাসন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আমি (মন্ত্রিপরিষদ সচিব), অর্থ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সচিব মিলে এজন্য কাজ করব।”
এজন্য তারা একটি প্রক্রিয়া খুঁজে বের করে সুপারিশ প্রণয়ন করলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর বাস্তবায়ন করা হবে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা কঠিন কিছু হবে না। কারণ উদ্যোগী মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, সচিব কমিটি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একাজ সহজেই করতে পারবে।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০১৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি-মার্চ)প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে মন্ত্রিসভা সন্তোষ প্রকাশ করেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তিন মাসে ১০টি বৈঠক হয়েছে, ৩৭টি সিদ্ধান্ত উপস্থাপিত হয়েছে এবং এর মধ্যে ১৯টি বাস্তবায়িত হয়েছে, বাস্তবায়নের হার ৫১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।”
বর্তমান নির্বাচিত সরকারের ইশতেহারের আলোকে অগ্রাধিকারভিত্তিক সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে মন্ত্রণালয়গুলোকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তা ত্বরান্বিত করার নির্দেশনাও দেয়া হয় মন্ত্রিসভা বৈঠকে।
বিগত দুই সামরিক সরকারের আমলে জারিকৃত অধ্যাদেশের প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশগুলো আইনে পরিবর্তন ত্বরান্বিত করতেও মন্ত্রিসভা নির্দেশনা দিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সভায় গত মার্চে লন্ডনে অনুষ্ঠিত “কমনওয়েলর্থ আইসিটি মিনিস্টার্স কনফারেন্স ২০১৪’ এ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর অংশগ্রহণ সম্পর্কে অবহিত করা হয়।