সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের সাগরে নামা বন্ধ হচ্ছে

সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের সাগরে নামা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2014, 01:36 PM
Updated : 17 April 2014, 05:20 PM

পহেলা বৈশাখে সাগরে গোসলে নেমে ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থী হতাহতের পর এ সিদ্ধান্ত এসেছে।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় দ্বীপের অনিরাপদ স্থানগুলো চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত সেখানে পর্যটকদের গোসল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

শুক্রবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে উপকূলরক্ষী (কোস্টাগার্ড) বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়।

এছাড়া সতর্কতামূলক প্রচারপত্র বিতরণসহ এই দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় নতুন উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।

গত ১৪ এপ্রিল সেন্টমার্টিনে ঘুরতে গিয়ে গোসল করতে নামের আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থী।

এ সময় স্রোতের টানে ভেসে যাওয়ার সময় গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে দুজন পরে মারা যান।

ওই সময় নিখোঁজ চার ছাত্রের মধ্যে সাগরে দুজনের লাশ পাওয়া গেছে। বাকি দুজনের কোনো হদিস মেলেনি এখনো।

বৃহস্পতিবারের সভায় এই প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে আলোচনার পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো সেন্টমার্টিনেও গোসলের সময় পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিচ ও লাইফ গার্ড কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সভায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব পর্যটন মোটেল শৈবালের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবুল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তসলিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিকুর রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার সচিব সামশুদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোফাজুল হাসান, জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্বাস উদ্দিন আহমদ, কক্সবাজার পর্যটন পুলিশের ওসি জাকের হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।