একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বুধবার বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ এই রুল জারি করে।
রুলে দেশব্যাপী সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিং হোম এবং ডায়গনস্টিক সেন্টারে দরিদ্র জনগণকে বিনামূল্যে ভর্তি, চিকিৎসা, ফ্রি ক্লিনিকাল-প্যাথলজিকাল ও ডায়গনস্টিক পরীক্ষায় বিধি/নির্দেশনা প্রণয়নে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
পাশাপাশি দেশব্যাপী চিকিৎসক, প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিং হোম ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে ‘মেডিকেল প্রাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ রেগুলেশন অর্ডি্ন্যান্স’ বাস্তবায়নের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়।
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিং হোম এবং ডায়গনস্টিক সেন্টার তদারকি করতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সেল গঠনে কেন স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চায় হাই কোর্ট।
স্বাস্থ্য সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে আর খান রবিন গত ১৯ মার্চ এই রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।