বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ‘নিখোঁজ’ স্বজনদের খোঁজে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে ভিড় করেছেন বহু মানুষ। পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় রাতে উদ্ধার কার্যক্রম চলে ধীরগতিতে।
মঙ্গলবার ফাটল ধরার পর বুধবার সকালে ধসে পড়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার নয় তলা ‘রানা প্লাজা’, যার চারটি তলায় পাঁচটি পোশাক কারখানায় প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করছিলেন ঘটনার সময়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। সকাল থেকে দেশের সব সরকারি- আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ও সেনা সদস্যরা রাভর এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নিলেও স্থানীয় বহু মানুষ এক্ষেত্রে উদ্যোগী ভূমিকা রাখছেন।
উদ্ধারকাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সিদ্দিকুল আলম শিকদার বলছেন, আটকে পড়া সবাইকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উদ্ধার কাজ পুরোপুরি শেষ হতে দুই-এক দিন লাগতে পারে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
ধ্বংসস্তূপের পাশে উদ্ধারকর্মীদের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সাভার মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ২টা পর্যন্ত ১৮৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৫ জনের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকার জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ভবন ধসের কারণ তদন্তে অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট মনোজ কুমার রায়ের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এই কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।