বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগ থেকে এই মিছিল শুরু হয়, যার সামনে ছিলেন নারীরা। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় প্রত্যেকের হাতে ছিলো কালো পতাকা।
জাগরণ মঞ্চের এই মিছিল বাংলামটর হয়ে মগবাজারে যায়, যেখানে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়। মগবাজার ঘুরে মিছিলটি আবার শাহবাগে ফিরে আসে ।
মিছিল চলাকালে হরতাল প্রত্যাখ্যান করে বিভিন্ন স্লোগান দেয় গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা।
‘জামায়াতের হরতাল/ মানি না মানবো না’, ‘রাজাকারের হরতাল/মানি না মানবো না’, ‘হৈহৈ রৈরৈ/ জামায়াত শিবির গেলি কই’, ‘ধর্ম ব্যবসার রাজনীতি/ মানি না মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগানে মিছিলের চারপাশ মুখরিত করে রাখেন তারা।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারা দেশে এই হরতাল ডেকেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রশিবিরকেও নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছে গণজাগরণ মঞ্চ।
গণজাগরণের মঞ্চের ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন প্রায় একই সময় ছাত্রশিবিরের হরতাল প্রত্যাখ্যান করে দেশের বিভিন্ন জেলায় কালো পতাকা নিয়ে মিছিল হয়।
মিছিল শেষে গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে সদ্য প্রয়াত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা বিনোদ বিহরী চৌধুরীর প্রতি সম্মান জানানো হয়।
জাগরণ মঞ্চের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল বিকাল থেকে গণজাগরণ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। তা চলবে সারা রাত। পরদিন পহেলা বৈশাখে সকাল থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিকাল ৪টায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।