সাতকানিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ৩

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় জামায়াত-শিবিরকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যুর খবর জানা গেলেও পরে তা বেড়ে তিন হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রামবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2013, 10:35 AM
Updated : 2 March 2013, 10:54 AM

নিহতরা হলেন- সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে শহিদুল ইসলাম (১৫), ছোট ঢেমশা এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে আবু তাহের (২৮) এবং আফজলনগর এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মো. ওসমান (২৬)।

সাতকানিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রাস্তার মাথা ও এর আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষে এরা নিহত হন বলে পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান।

যুদ্ধাপরাধে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর দেশজুড়ে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের মধ্যে শনিবার এই তিন জন মারা গেলেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কে এম হাফিজ আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সন্ধ্যায় বলেন, “তিন জন নিহত হওয়ার কথা শুনেছি। তবে লাশ এখনো আমরা দেখিনি।”

পুলিশ মহাসড়কে আটকে পড়া যানবাহন চলাচল নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।

দুপুরে সংঘর্ষে দুই জন নিহত হওয়ার বিষয়টি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত সুপার মো. ইলতুৎমিশ নিশ্চিত করেছিলেন।

সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা।

শনিবার সকালে তাদের উঠিয়ে দিতে গেলে এই সংঘর্ষ শুরু হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. ইসমাইল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিবিরকর্মীরা সকাল থেকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামমুখী বেশ কয়েকটি বাস ভাংচুর এবং আগুন দেয়ার চেষ্টা করে।

পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় শিবিরকর্মীরা। এতে দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

ওসি বলেন, পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে শিবিরকর্মীরাও গুলি ছোড়ে।

সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার বৃহস্পতিবারও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। লোহাগাড়ায় এক পুলিশসহ দুই জন নিহত হন। এছাড়া বাঁশখালীতে শিবিরের হামলায় নিহত হন এক হিন্দু বৃদ্ধ।

মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে ভাংচুর-আগুন

শনিবার সকালে ঝটিকা মিছিল করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর পণ্যবাহী কভার্ড ভ্যান ও ট্রাকে আগুন এবং বিভিন্ন যানবাহন ভাংচুর করে শিবিরকর্মীরা। সীতাকুণ্ড বটতলে একটি কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাকে আগুন দেয় তারা। এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে পৌরসদরের কাছে একটি ট্রাকে আগুন দেয়া হয়।

অন্যদিকে মহাসড়কের মিরসরাই বাদামতলীর কাছে দুটি যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাংচুর করা হয়।

মিরসরাই থানার ওসি ইফতেখার হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিবিরকর্মীরা সকাল ৭টার দিকে ঝটিকা মহাসড়কে ওঠে মিছিল করে এবং যানবাহন ভাংচুর করে। এসময় তাদের ধাওয়া দিয়ে সাতজনকে আটক করা হয়।

সীতাকুণ্ডে দুটি স্থানে গাড়িতে আগুন দেয়ার বিষয়টি জানান সংশ্লিষ্ট থানার ওসি সামিউল আলম। সীতাকুণ্ডে ভাংচুরের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করার বিষয়টি জানান তিনি।