রাজশাহীতে আ. লীগ কার্যালয়ে বোমাহামলা, মেয়র লিটন অক্ষত

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর দেশজুড়ে জামায়াতের সহিংসতার মধ্যে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ কয়েকটি স্থাপনা লক্ষ্য করে বোমাহামলা হয়েছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2013, 12:00 PM
Updated : 28 Feb 2013, 12:00 PM

বৃহস্পতিবার রাতে এই হামলার লক্ষ্যস্থল ছিল নগর ভবন, মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল খালেকের বাড়ি।

হামলায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দলীয় নেতারা জানিয়েছেন।

হামলার জন্য তারা জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেছেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মুনির-উজ-জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়, নগর ভবন ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল খালেকের বাসায় বোমা হামলা চালানো হয়।

পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, রাত ৯টার দিকে বোমা হামলার সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন কার্যালয়ে ছিলেন।

লিটন বলেন, তিনি দলীয় কার্যালয়ে বসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। এসময় দুই শিবিরকর্মী মোটর সাইকেলে এসে বোমা মেরেই পালিয়ে যায়।

বোমায় আহতরা হলেন- মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভপতি আব্দুল মোমিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আহমেদ আলী, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ডাবলু সরকার, মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা আলী, আরিফুল ইসলাম আরিফ, রাজিব হোসেন, আওয়ামী লীগকর্মী ইব্রাহীম হোসেন, মোহাম্মাদ বাবু, বাদশা শেখ ও শামীম হোসেন।

আহতদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

এর আগে দুপুরের পর শিবিরকর্মীদের একটি ঝটিকা মিছিল থেকে নগরীর বিনোদপুর অধ্যাপক খালেকের বাড়িতে তিনটি বোমা ছুড়ে মারা হয়।

বোমা দুটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। অধ্যাপক খালেক তখন বাসায় ছিলেন। পরে পুলিশ অবিস্ফোরিত বোমাটি উদ্ধার করে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।

একই সময় নগর ভবনের সামনের মূল ফটকে একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় শিবিরকর্মীরা। সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান তখনো নগর ভবনে ছিলেন।

এরপর বিজিবি পাহারায় গাড়ি নিয়ে নগর ভবন ত্যাগ করেন মেয়র।