পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনানশিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এক চেয়ারম্যান ও দুই পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2019, 02:07 PM
Updated : 22 July 2019, 02:07 PM

সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হকের স্বাক্ষরে পুলিশের বিশেষ শাখায় (ইমিগ্রেশন) চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়।

যাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনানশিয়াল সার্ভিসেসের সাবেক চেয়ারম্যান এম মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক দুই পরিচালক বিশ্বজিৎ কুমার রায় ও মো. খবির উদ্দিন।

তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

দুদকের চিঠিতে বলা হয়, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনানশিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগে রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ওই আসামিরা সপরিবারে দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।”

সিভিল সার্জনসহ নয় জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যন্ত্রপাতি কেনার নামে ১৭ কোটি টাকা আত্মসাতের এক মামলার আসামি সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন তাওহীদুর রহমানসহ নয় জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।

সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরে পাঠানো এক চিঠিতে এই নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

পুলিশের বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, “আসামিরা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। তাই তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।”

তাওহীদুর রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ভাণ্ডার রক্ষক ফজলুল হক, হিসাবরক্ষক আনোয়ার হোসেন, মেসার্স বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির মালিক জাহের উদ্দিন সরকার, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর আবদুর ছাত্তার সরকার, আহসান হাবিব ও আসাদুর রহমান, মাদারীপুরের আবু বকর সিদ্দিক এবং নিমিউ অ্যান্ড টিসির অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী এ এইচ এম আবদুল কুদ্দুস।

গত ৯ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কোনো ধরনের চাহিদাপত্র না থাকার পরও আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নেন।

‘জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে’ দরপত্র আহ্বান, দরপত্র সংগ্রহ, দরপত্র মূল্যায়ন ও কার্যাদেশ দিয়ে তিনটি মিথ্যা বিলের বিপরীতে তারা মোট ১৬ কোটি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৮২৭ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করা হয় ওই মামলায়।