শ্রম আদালতের সাবেক রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন

জন্ম তারিখ ঘষামাজার মাধ্যমে পরিবর্তন করে অতিরিক্ত চার বছর চাকরির করার অভিযোগে ১৭ বছর পর ঢাকার একটি শ্রম আদালতের সাবেক রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2017, 02:24 PM
Updated : 24 Sept 2017, 02:24 PM

রোববার এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

যার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করবে তিনি হলেন ঢাকার দ্বিতীয় শ্রম আদালতের সাবেক রেজিস্ট্রার এবিএম জয়নাল আবেদীন।

প্রণব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জয়নাল আবেদীন ১৯৬১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, সেখানে তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৪০ সালের ১ জানুয়ারি লেখা রয়েছে। কিন্তু তিনি সার্ভিস বইতে ১৯৪০ সালের পরিবর্তে জালিয়াতি করে একজন সেলফ ড্রয়িং অফিসার হিসেবে ১৯৪৪ সাল করেন।”

অভিযোগটি অনুসন্ধান করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক ওমর ফারুক।

তিনি বিডনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জয়নাল আবেদীন তার চাকরির শুরুতে করাচিতে পাকিস্তান সচিবালয়ের টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিসের মহাপরিচালকের দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। তৎকালীন কোনো এক সময় তিনি সার্ভিস বইতে জন্ম তারিখের ঘরে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত জন্মসাল ১৯৪০ এর ০ সংখ্যাটিকে ৪ এ রূপান্তরিত করে ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে রূপান্তর করেন।

ওমর ফারুক বলেন, “জয়নাল আবেদীন ৫৭ বছর বয়স পূর্তি করে অবসরোত্তর ছুটিতে (এলপিআর) যাওয়ার কথা থাকলেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ২০০০ সাল পর্যন্ত চাকরি করেন।

ওই অভিযোগের বিষয়ে দুদকের এক অনুসন্ধানে ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস জানায়, জয়নাল আবেদীন ১৯৬১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং তার জন্ম তারিখ ১৯৪০ সালের ১ জানুয়ারি।

অভিযোগ পাওয়ার ১৭ বছর পর মামলার অনুমোদনের কারণ জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, “অভিযোগটি দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সময়ের। জয়নাল আবেদীন অভিযোগের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করলে সেটি এতদিন দুদকের অনিষ্পন্ন বিষয়াদির তালিকায় ছিল। গত কয়েক মাস আগে অভিযোগটি নতুন করে অনুসন্ধানের জন্য হাই কোর্ট থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর পরবর্তি পদক্ষেপ সম্পন্ন শেষে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।” 

দুদক কর্মকর্তা প্রণব কুমার বলেন, জয়নাল আবেদীন ঢাকা দ্বিতীয় শ্রম আদালতে রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত চার বছর দায়িত্ব পালন করে সরকারি বেতন ভাতাদি বাবদ পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৪ টাকা অতিরিক্ত গ্রহণের অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।