বেশ কিছুদিন ধরেই নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন ৭৫ বছর বয়সী নায়করাজ। সোমবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে তাকে নেওয়া হয় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে। চিকিৎসকরা সন্ধ্যায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় বলা হয়, “তার মৃত্যুতে দেশের চলচ্চিত্র শিল্প তথা সংস্কৃতি অঙ্গন এক কিংবদন্তিকে হারালো, যে ক্ষতি সহজে পূরণ হবার নয়।”
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্জাকের অবদানের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি প্রয়াত এই চলচ্চিত্র তারকার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রাজ্জাক তার স্ত্রী লক্ষ্মী (খায়রুন নেসা), তিন ছেলে বাপ্পারাজ, বাপ্পি ও সম্রাট এবং দুই মেয়ে শম্পা ও ময়নাকে রেখে গেছেন। তার ছেলেরাও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
পাঁচশর বেশি চলচ্চিত্রের অভিনেতা আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশের মানুষের কাছে নায়করাজ রাজ্জাক নামেই খ্যাত। ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় তার জন্ম।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সাদা কালো যুগ থেকে শুরু করে রঙিন যুগ পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে ছিলেন রাজ্জাক। চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাকে আজীবন সম্মাননাও দেওয়া হয়।