রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন সোমবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের কর্মীরা পুরোদমে কাজ করছে। সেতুর অ্যাপ্রোচের ধসে পড়া অংশের মেরামত শেষ পর্যায়ে।
“আশা করছি আজ দুপুরের পর আমরা মেরামত কাজ শেষ করতে পারব। এরপর ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে।”
বন্যার পানির তীব্র স্রোতে এলেঙ্গা পৌরসভার পুংলী রেলসেতুর দক্ষিণ অংশের অ্যাপ্রোচ রোডের ২০ ফুটের মতো জায়গা থেকে মাটি সরে গেলে রোববার সকাল থেকে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছানোর পর শুরু হয় মেরামতের কাজ।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী রমজান আলী বলেন, ঢাকা থেকে গার্ডার পৌঁছানোর পর সোমবার সকালে মূল কাজ শুরু করেছেন তারা। দুই পাশে বালির বস্তা ফেলে ভিত মজবুত করা হয়েছে।
“মাটি সরার পাশাপাশি লাইনটা একটু বেঁকে গেছে, স্লিপারগুলো পানিতে পড়ে গেছে। ঘটনার পর থেকেই আমরা দিন-রাত কাজ করছি। ধসের জায়গায় মাটি ফেলা হয়েছে। এখন গার্ডার বসানো হচ্ছে। আশা করছি বিকাল নাগাদ ট্রেন চালু হবে।”
রমজান আলী বলছেন, বন্যার পানির স্রোতে মাটি সরে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. সাফি খানের অভিযোগ, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের কারণে সেতুর নিচে ধেকে মাটি সরে গেছে।”
লাইন বন্ধ থাকায় রোববার ঢাকা থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সব ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। সেই সঙ্গে ঢাকা-কলকাতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেসের দুই দিনের যাত্রা বাতিল হয়ে যায়।
সেতু মেরামত শেষ না হওয়ায় সোমবারও ঢাকা থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সব ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।বিক্রি হওয়া টিকেট ফেরত নিয়ে যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্ত্তী।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের কোনো ট্রেন না ছাড়লেও রাজশাহী থেকে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস সোমবার সকালে ছেড়ে এসেছে।
ট্রেনটি টাঙ্গাইলে ক্ষতিগ্রস্ত পুংলী সেতু পর্যন্ত আসবে। তারপর যাত্রীদের নামিয়ে এপারে এনে ধূমকেতু ট্রেনে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে।