বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে ‘কমিশনের এক বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন, কার্যক্রমের অগ্রগতি মূল্যায়ন সভায়’ তিনি এ নির্দেশ দেন।
দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) নাসিরউদ্দীন বলেন, “প্রতিটি অনুসন্ধান ও তদন্ত টাইম লাইন অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যৌক্তিক কারণ ব্যতিরেকে অনুসন্ধান বা তদন্ত পেন্ডিং ফেলে রাখা যাবে না।”
কমিশনের এক বছর মেয়াদি কর্মকৌশল নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে কর্মকর্তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দেন তিনি।
গত ছয় মাসে কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে কমিশনের ছয়টি অনুবিভাগের মহাপরিচালকরা সভায় অবহিত করেন।
সভায় দুদকের প্রশাসন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, কমিশনের নিজস্ব হাজতখানা পরিচালনা এবং আর্মড ইউনিট গঠনের নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত কাজ ৯০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।
মহাপরিচালক (তদন্ত) ফরিদ আহমদ ভূইয়া জানান, গত ছয় মাসে এই অনুবিভাগ ৬০৩টি অভিযোগের অনুসন্ধান এবং ৪৭৪টি মামলার তদন্ত সম্পন্ন করেছে।
আইন অনুবিভাগের মহাপরিচালক শামসুল আরেফিন জানান, বর্তমানে কমিশনের আইনজীবীদের কাছে কতটি মামলা রয়েছে, মামলাগুলো কোন পর্যায়ে, কোন আদালতে বিচারাধীন এখন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যাচ্ছে।
দুদক মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত ছয় মাসে এই অনুবিভাগ ১৬৬টি অভিযোগের অনুসন্ধান এবং ৫৩টি মামলার তদন্ত সম্পন্ন করেছে।