শুক্রবার সকালে নাটোরের সিংড়া থেকে র্যাশকে গ্রেপ্তারের পর বিকালে মিরপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “হলি আর্টিজান বেকারিতে যেসব জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল, তারা সবাই ঘটনাস্থলে মারা গেছে। পরে পুলিশ তদন্ত করে অনেক তথ্য পায়, ওই সব তথ্যের ভিত্তিতে এর আগে জঙ্গি সোহেল মাহফুজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“সোহেল মাহফুজ পুলিশকে জানায় যে, সে সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাংলাদেশে এনে রাশেদকে দিত, আর রাশেদ এই সব অস্ত্র-গোলাবারুদ তামিমসহ অন্যান্য জঙ্গিদের কাছে সরবরাহ করত।”
নব্য জেএমবির প্রধান তামিম চৌধুরীর ‘ঘনিষ্ঠ’ র্যাশও ওই হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
হলি আর্টিজান হামলার বর্ষপূর্তিতে পুলিশ যে পাঁচ জঙ্গির খোঁজে থাকার কথা জানিয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিলেন সোহেল ও র্যাশ।
আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজকে গত ৭ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের একটি আমবাগান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দ্বিতীয় দফা রিমান্ড চলাকালে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গুলশান হামলায় অস্ত্র সরবরাহের কথা জানিয়েছেন তিনি।
তার দেওয়া তথ্য থেকে গ্রেপ্তার করা হল র্যাশকে। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলছেন, আদালত অনুমতি দিলে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে হামলার বিষয়ে তার কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে।