‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে বাংলাদেশ

দীর্ঘ দিন পর আবার সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ এ অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2017, 12:11 PM
Updated : 27 July 2017, 03:05 PM

তবে আন্তর্জাতিক এই আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে ইচ্ছুক বাঙালি ললনাদের দেশেই দিতে হবে পরীক্ষা।

‘লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় সৌন্দর্য আর বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ করে সেরার মুকুট পেলে তবেই মিলবে চূড়ান্ত পরীক্ষার প্রবেশপত্র।

২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর চীনের সানাইয়া শহরে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ এর ৬৬তম আসরটি অনুষ্ঠিত হবে।

‘লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার আয়োজক অন্তর শোবিজ ও ওমিকন এন্টারটেইনমেন্ট বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও নারীদের অগ্রযাত্রার গল্প তুলে ধরতে তারা যৌথভাবে বাঙালি প্রতিনিধি নির্বাচনে কাজ করছেন।

অন্তর শোবিজের কর্ণধার স্বপন চৌধুরী জানান, ‘লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে প্রতিযোগিদের নিবন্ধন করতে হবে www.missworldbangladesh.com ঠিকানায়।

১৮ থেকে ২৭ বছরের নারীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে; থাকবে প্রবাসী বাংলাদেশী নারীদেরও অংশ নেওয়ার সুযোগ। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।

বাংলাদেশের প্রতিযোগিতায় প্রতি পর্বে প্যানেল বিচারকদের পাশাপাশি একজন ‘বিশেষ’ বিচারক থাকবেন বলেও জানান স্বপন।

‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় সুইমিং কস্টিউম নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে ২০১৫ সালে কর্তৃপক্ষ এই রাউন্ড বাতিল করে। প্রতিযোগীরা নিজ নিজ দেশের পোশাক পরেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। তখন থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও তাদের প্রতিনিধি পাঠাতে শুরু করে।

আয়োজকরা জানান, ‘লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় প্রতি পর্বে তারা দেশীয় পোশাককে প্রাধান্য দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, “এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই প্রাসঙ্গিক। মেধা, উৎকর্ষতা, মনন, পোশাকে নারীরা বাংলাদেশেরই প্রতিনিধিত্ব করবে, এতে কোনো অসুবিধা নাই। তারা দেশের ঐতিহ্য, নারীর অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরবে।”

‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অন্যান্য দেশের প্রতিযোগীদের চেয়ে বাংলাদেশের নারীরা কোনো অংশে পিছিয়ে নেই বলেও মন্তব্য করেন ইনু।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অন্তর শোবিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসরিন চৌধুরী, ওমিকন এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান।

‘মিস ওয়ার্ল্ড’  ফাইনালে অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেক প্রতিযোগীকে তার নিজ দেশের পদক অথবা বিশেষ কোনো আয়োজনের মাধ্যমে ‘মিস ওয়ার্ল্ড ন্যাশনাল প্রিলিমিনারি’ বিজয়ী হতে হয়। বিজয়ীকে ওই দেশের ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ নামকরণে ভূষিত করা হয়।

‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন প্রাথমিক স্তরে গালা, ডিনার, বল এবং অন্যান্য কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

১৯৫১ সালে যুক্তরাজ্যের এরিক মোর্লে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতা শুরু করেন। বিকিনি প্রতিযোগিতার বিপরীতে মেধা, দেহ সৌষ্ঠ্যবের এই প্রতিযোগিতাটি ক্রমেই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠে। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ আয়োজকরা ব্যয় করেন হতভাগ্য শিশুদের কল্যাণে।

১৯৫১ সালে সুইডেনের কিকি হ্যাকানসন প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড’- এর খেতাব জেতেন।  ১৯৯৪ সালে ভারতের ঐশ্বরিয়া রাই, ২০০০ সালে ভারতের প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ২০১৫ সালে স্পেনের মিরেইয়া লালাগুনা রোয়োর, ২০১৬ সালে পুয়ের্তো রিকোর স্টেফানি দেল ভালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ হন।