শাহ আমানত, কক্সবাজার বিমানবন্দর সচল

ঘূর্ণিঝড় মোরার বিপদ কেটে যাওয়ায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2017, 09:57 AM
Updated : 30 May 2017, 11:12 AM

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার মোহাম্মদ রিয়াজুল কবির জানান, মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে ফ্লাইট অপারেশন শুরু করেছেন তারা।

ঝড়ে ‘উল্লেখ করার মতো’ তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মোহন্ত জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত তাদের সব এয়ারফিল্ড বন্ধ ছিল। দুইটার পর খোলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সীমানার কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে।”

দশ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত নিয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোরার কারণে মঙ্গলবার শাহ আমানত বিমানবন্দরে সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উড়োজাহাজ ওঠা-নামা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয় সোমবার।কক্সবাজার বিমানবন্দরেও মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঝড়ের কারণে অবশ্য ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ঘণ্টায় একশ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাস নিয়ে মঙ্গলবার ভোরে উপকূলে আঘাত হানার পাঁচ ঘণ্টা পর ঘূর্ণিঝড় মোরা দুর্বল হতে থাকে।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, আগামী ১২ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি আরও দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হবে।

ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হওয়ার বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘোষণার পরই বিমানবন্দরের কার্যক্রমও স্বাভাবিক করার ঘোষণা এলো।

বিকাল ৪টার দিকে নভো এয়ারের মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস ম্যানেজার এ কে এম মাহফুজুল আলম জানান, বিকাল ৩টায় ঢাকা থেকে তাদের একটি ফ্লাইট চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের এজিএম কে এম জাফরুজ্জামান জানান, ৩টার দিকে তাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম-ব্যাংকক ফ্লাইট ছেড়ে গেছে।

এছাড়া কলকাতা থেকে একটি ফ্লাইট বিকাল ৩টার পর চট্টগ্রামে পৌঁছেছে বলে জানান তিনি। 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের জিএম শাকিল মেরাজ জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে বিমানের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাবে। আরেকটি ফ্লাইট সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে জেদ্দা যাবে।

মঙ্গলবার কক্সবাজার বিমানবন্দরে কোনো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট যাবে না বলেও জানান তিনি।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখা এ বিমনানবন্দরের ‘গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্টগুলো’ ঠিকঠাক করতে হবে, তাই এখানে কোনো ফ্লাইট ওঠানামা করবে না বলে তিনি জানান।