খাদ্যে কোনো ধরনের ভেজালের প্রমাণ পেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এই স্যানিটারি ইন্সপেক্টররা ‘নিরাপদ খাদ্য আইনের’ ধারায় পাঁচ বছরের জেল অথবা পাঁচ লাখ টাকার জরিমানার মামলা করবেন।
আগে থেকেই তাদের এই ক্ষমতা থাকলেও রমজানকে সামনে রেখে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে তা প্রয়োগে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সারা দেশের স্যানিটারি পরিদর্শকদের কাছে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিদর্শকরা খাবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া ও নবায়ন, ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ ও তাদের তালিকা তৈরিসহ প্রতিদিন কমপক্ষে আটটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে দেশের প্রতিটি বিভাগের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে এ কার্যক্রম চালানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘সুস্থ্য জীবনের নিরাপদ খাদ্য’ বিষয়ক এক আলোচনায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের রমজান মাসে প্রতিদিন ভেজাল খাদ্য বিরোধী অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, “শুধু রোজার সময় নয়, জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের এই অভিযান সারা বছর অব্যাহত রাখতে হবে।”
ভেজাল ও দূষিত খাবার খেয়ে সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন জাহিদ মালেক।
“ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হার্টের রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগের প্রকোপ বাড়ছে অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে। তাই রোগের চিকিৎসা করার চাইতে রোগ যেন না হয় সেদিকেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
ভেজালবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি ভোক্তাদের সচেতন করতে সারা দেশের হাট, বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।