ইফতার সেহরি তারাবিতে ‘লোডশেডিং নয়’

আসন্ন রোজায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ‘পিক আওয়ারে’ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও রাত ৮টার পর বিপণীবিতান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2017, 03:20 PM
Updated : 27 April 2017, 03:20 PM

রোজা ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি সংস্থাটি।

এর মধ্যে রয়েছে, পিক আওয়ারে বিদ্যুতের বাণিজ্যিক ব্যবহার কমানো, অতিরিক্ত আলোকসজ্জা ও বেশি বিদ্যুৎ শোষণকারী বাতির ব্যবহার না করা।

রমজান মাসজুড়ে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সময়কে ‘পিক আওয়ার’ ধরা হয়েছে। এই সময়ে সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে এসব সিদ্ধান্ত নেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমেদ কায়কাউস।

বৈঠকে তিনি বলেন, “মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে রোজার মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সবাই আশা করেন।সেজন্য প্রতিবছরের মতো এবারের সরকার রোজার সময় বিদ্যুতের ভালো সুফল পেতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।”

রোজার সময় ইফতার সেহরি ও তারাবির সময় কোথাও যাতে লোডশেডিং না হয় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

বিদ্যুৎ সচিব বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার বিদ্যুতের উৎপাদন যেভাবে বেড়েছে তাতে এবার বিদ্যুৎ নিয়ে সঙ্কট হবে না।

“গত বছর সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৩৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপাদন হয়েছিল। এখন এর পরিমাণ অনেক বেশি। এবার ১০ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা হলেও তা মেটানোর মতো প্রস্তুত রয়েছে।”

চলতি গ্রীষ্ম মৌসুম ও আসন্ন রোজা উপলক্ষে গত বছরের মে মাসেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই ও দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধির অংশগ্রহণে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ওই বৈঠকে আইন অনুযায়ী রোজার মাসে রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট, মার্কেট ও বিপণীবিতান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়।

পিক আওয়ারে রি রোলিং মিল, ওয়েল্ডিং মেশিন, ওভেন, ইস্ত্রির দোকানসহ অধিক বিদ্যুৎ ব্যয় হওয়া প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ও দোকান মালিকরা এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবেন।