ময়মনসিংহ চেম্বারের সভাপতির এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৪ মে এফবিসিসিআই নির্বাচনে ভোট গ্রহণের কথা ছিল।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম বদরুদ্দোজা বাদল। সঙ্গে ছিলেন, মুহাম্মদ সহিদুল ইসলাম।
বদরুদ্দোজা বাদল পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আইনে আছে, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ থেকে পরিচালক মনোনয়ন করতে হবে। ২০১৫ সালে ময়মনসিংহ বিভাগ হয়। ২০১৬ সালে ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স তাদের অন্তর্ভুক্তির জন্য দরখাস্ত করে। কিন্তু গত এক বছরেও তা হয়নি।
ওইদিন শুনানি করে রুল দেয় আদালত। ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে পরিচালক অন্তর্ভুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
বাণিজ্যসচিব, এফবিসিসিআই সভাপতিসহ সকল সদস্য ও নির্বাচন বোর্ডকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
বাণিজ্যসচিব সে সময় জানান, তফসিল হয়ে যাওয়ায় এখন আর অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নেই। বিষয়টি আবার আদালতের নজরে আনা হলে বিচারক আবারও ময়মনসিংহের আবেদনটি বিবেচনা করতে বলেন। কিন্তু গত ১৪ মার্চ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একই কথা জানানো হয়।
এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন আটকাতে নতুন আবেদন করেন ময়মনসিংহ চেম্বারের সভাপতি, যার শুনানি নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল আদালত।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত তফসিলে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহীদের ১০ এপ্রিলের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে বলা হয়। ১৪ মে ভোটের পর নির্বাচিত পরিচালকদের বৈঠকে ১৬ মে সভাপতি, প্রথম সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনের কথা ছিল।