বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আজকের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর পক্ষ থেকে আমাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। যারা এখানে কর্মকর্তারা এসেছেন তারা বলেছেন এই নির্বাচন কমিশনের উপরে যেন আস্থার একটা ক্ষেত্র তৈরি হয় তা এই নির্বাচন থেকে বেরিয়ে আসবে।”
তিনি জানান, দেশে একসঙ্গে জাতীয় নির্বাচনে তিনশ’ আসনের নির্বাচনও সুষ্ঠু হওয়ার নজির রয়েছে। তাই মাত্র ২/৩ টি নির্বাচন নিয়ে আশংকার কিছু নেই।
“ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে, ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সে ব্যবস্থা থাকবে।”
তিনি জানান, ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকবেন তারা কোনো অনিয়ম করবেন না। অনিয়ম করলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তফসিল অনুযায়ী, গাইবান্ধা-১ আসনে ২২ মার্চ এবং ৩০ মার্চ সুনামগঞ্জ-২ উপ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে।
অযথা হয়রানি নয়
বৈঠকে নির্বাচনী এলাকায় জঙ্গি হামলা বা নাশকতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান সিইসি।
“ এ বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে। বিশেষ করে এ বিষয়ে আমরা সুন্দরগঞ্জ নিয়ে বেশি সতর্ক থাকব। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর থাকবে।”
সিইসি জানান, যদি কারো নামে আগে থেকে কোনো মামলা না থাকে, তাহলে নতুন করে কাউকে হয়রানি করা হবে না।
কুমিল্লায় সেনা প্রস্তুত
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নিয়ে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের প্রস্তুত রাখা হবে বলে জানান সিইসি।
বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের প্রতিনিধি, মহাপুলিশ পরিদর্শক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়/জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, র্যাব, কোস্ট গার্ড, আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই, এনএসআই ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
ভোটে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য
বৈঠকে গাইবান্ধা-১ আসনের উপ-নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ২২ জন সদস্য আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ করে সদস্য নিয়োজিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটলিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ৫০টি টিম মোবাইল ফোর্স হিসেবে থাকবে; স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ১৭টি। এছাড়া র্যাবের ১৭টি টিম কাজ করবে। আর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ৫ প্লাটুন সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপ-নির্বাচনের সাধারণ ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ২২ সদস্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন করে সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
আর পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটলিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম ৪৪টি, স্ট্রাইকিং টিম ১৫টি, র্যাবের ১৫টি টিম ও ৪ প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত থাকবে।
এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রেও উপ-নির্বাচন দুটির মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।
এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটলিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম ২৭টি, স্ট্রাইকিং টিম ৯টি নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া র্যাবের ২৭টি টিম ও ১৭ প্লাটুন বিজিবিও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে।