রোববার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গ্রাম্য সালিশদার, চেয়ারম্যান বা মেম্বাররা যাতে বিচারের নামে প্রকাশ্যে কারও মাথার চুল কাটতে, কান ধরে ওঠবস করাতে, গলায় জুতার মালা পরাতে, নাকে খত দেওয়াতে, ঝাড়ু পেটা ইত্যাদি অমানবিক সাজা দিতে না পারে সে জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।”
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশের জেলা আদালত থেকে ১০৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আয় হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নতুন ৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে। বিষয়টি এখন প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির অপেক্ষায় আছে। এটি হলে এ সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাবে।
“এছাড়া সাত বিভাগে সাতটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল, সাতটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল, ১১২টি অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ২১৪টি সহকারী জজ আদালত, ৩৪৬টি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ১৯টি পরিবেশ আদালত এবং ৬টি পরিবেশ আপিল আদালত তৈরির বিষয় প্রক্রিয়াধীন আছে। এর সঙ্গে ১১তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে ১১৫ জন সহকারী জজ নিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের আছে।”
বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১৪ সাল থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৭টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে বলেও আইনমন্ত্রী জানান।
বিকেল পৌনে ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।