আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রক এই খাদ্য গুদামের ধারনক্ষমতা ২৫ হাজার মেট্রিক টন। সব ধরনের খাদ্যশস্যই সেখানে সংরক্ষণ করা সম্ভব বলে এ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ প্রকল্পসহ বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি স্থাপনে রোববার বেলা ১২টার কিছু আগে বগুড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সান্তাহারে পৌঁছে প্রথমেই তিনি বহুতল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওয়্যারহাউজের উদ্বোধন করেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ২০০৯ সালে জাইকার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় উন্নত প্রযুক্তির চাল সংরক্ষণাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সড়ক ও রেলপথ অবকাঠামো বিবেচনা করে কৌশলগত স্থান হিসাবে নওগাঁ ও বগুড়ার মধ্যবর্তী সান্তাহারকে বেছে নেওয়া হয় এ প্রকল্পের জন্য।
>> ধারণ ক্ষমতা ২৫ হাজার মেট্রিক টন
>> দ্বিতল ভবনে মোট ১৬টি কক্ষ; প্রতিটি কক্ষের বাইরের দেয়াল, দরজা ও ছাদ তাপনিরোধক।
>> প্রতিটি কক্ষে আছে অগ্নিনির্বাপক এবং স্বয়ংক্রিয় আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা
>> শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগী শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে প্রতিটি কক্ষে
>> চালের বস্তা সরাতে আছে চারটি ফর্ক লিফট
>> বস্তায় চাল সংরক্ষণের জন্য আছে ২৬ হাজার ৪০টি প্লাস্টিক প্যালেট
খাদ্যগুদাম উদ্বোধনের পর চত্বরে একটি আম গাছের চারা রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি গুদামের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
এক দিনের এই সফরে নন্দিগ্রাম উপজেলা কমপ্লেক্সের সম্প্রসারিত ভবন ও হলরুম, শাহজাহানপুর থানা ভবন ও সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমভবন, শিবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, সোনাতলা উপজেলার সিচারপাড়া-৩ গুচ্ছগ্রাম, সারিয়াকান্দি উপজেলার ১২টি আশ্রয়ণপ্রকল্প, আদমদিঘী উপজেলায় সৌরবিদ্যুৎচালিত পাতকুয়ার মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস ভবন, বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নে ১০ শয্যার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধন ও ভিত্তিস্থাপনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা ৩টায় সান্তাহার স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেবেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালে ১২ নভেম্বর উত্তর জনপদের এই জেলায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।