বৃহস্পতিবার সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরীর এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সরকার গ্যাসের অবৈধ সংযোগ কঠোর হস্তে দমন করছে। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে।
“তবে, কতিপয় ক্ষমতাবান দুষ্কৃতিকারী এ কাজে বাধা প্রদান করছে বলে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে।”
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫২ শতাংশ বেসরকারি খাত হতে উৎপাদিত হচ্ছে।
সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১১ হাজার ৩০২ মেগাওয়ট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এগুলো ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চালু হবে। এছাড়া ৪ হাজার ৭২৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন ও ৬ হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১টি কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে।
আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে মোট ১০৮টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১২ হাজার ৫৫১ মেগাওয়াট। এছাড়া আরো ৬০০ মেগাওয়াট ভারত হতে আমদানির মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের ২ কোটি (১২-১৩ শতাংশ) মানুষ গৃহস্থালি কাজে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস দ্বারা সরাসরি উপকৃত হচ্ছে।
ঢাকা শহর থেকে সব ধরনের কল-কারখানা স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
সংসদ সদস্য জাহান আরা বেগম সুরমার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধবহীনভাবে গড়ে উঠা প্লাস্টিক এবং মুদ্রণ শিল্পসমূহকে স্থানান্তরের জন্য মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে প্লাস্টিক ও মুদ্রণ শিল্পনগরী স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া ইলেকট্রিকক্যাল গুডস অ্যান্ড লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প টঙ্গীবাড়ি স্থানান্তরের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান বাজারে কিছু নিম্নমানের মিনারেল ওয়াটার রয়েছে, তবে নিম্নমানের মিনারেল ওয়াটারে বাজার সায়লাব হওয়ার বিষয়টি যথাযথ নয়।
এম এম মালেকের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, শিল্প উদ্যোক্তাদের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৬১টি রুগ্ন শিল্প চিহ্নিত করা হয়েছে।