অর্থ আত্মসাত: সিলেট জীবন বীমার সাবেক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

এক কোটি ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন জীবন বীমা কর্পোরেশনের সিলেট আঞ্চলিক অফিসের সাবেক ব‌্যবস্থাপক মো. গিয়াস উদ্দিন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2017, 03:22 PM
Updated : 19 Feb 2017, 03:22 PM

এই মামলায় রোববার সিলেট শহর থেকে তাকেসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

অন্যরা হলেন- ওই কার্যালয়ের সাবেক জুনিয়র অফিসার মো. ফিরোজ আলম, উচ্চমান সহকারী মো. ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার ও নিম্নমান সহকারী মো. দেলোয়ার হোসেন।

গিয়াস উদ্দিনসহ সবাই চাকরিচ্যুত বলে জানিয়েছেন প্রণব।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামিরা জীবন বীমা কর্পোরেশনের সিলেট আঞ্চলিক অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় একক ও পরস্পর যোগসাজশে কর্পোরেশনের ১ কোটি ৯০ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৫ টাকা আত্মসাৎ করে।”

তাদের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি থানায় গত বছরের ১২ জুলাই মামলা করেন জীবন বীমা কর্পোরেশনের সিলেট আঞ্চলিক অফিসের ভারপ্রাপ্ত ব‌্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান।

এরপর আদালতে নির্দেশে মামলাটি তদন্ত শুরু করেন দুদকের সহকারী পরিচালক দেবব্রত মন্ডল।

সাবেক সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন

সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বরিশালের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুল আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুদক।

রোববার কমিশন এই অনুমোদন দেয় বলে সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

অন্য আসামিরা হলেন- বরিশালের সাবেক ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সাইদুর রহমান, সাবেক মেডিকেল অফিসার (ভাণ্ডার) ডা. মো. হাবিবুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অব.) মো. জয়নাল আবেদীন, সাবেক জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান ও ঠিকাদার আমিনুর রহমান চৌধুরী।

প্রণব ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১৯৯৬-৯৭ ও ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে, প্রতারণামূলকভাবে এমএসআর স্ট্যান্ডার্ড দামের চেয়ে অধিক দামে ওষুধ কিনে এবং ভ্যাট কর্তন না করে সরকারি অর্থ আত্মসাত করে।

২০১৬ সালের ২১ মার্চ বরিশাল কোতোয়ালি থানায় ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। কমিশনের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন।

এদিকে হাতেনাতে অর্থসহ গ্রেপ্তার সড়ক ও জনপথ বিভাগের এস্টেট কার্যালয়ের সহকারী আইন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্রও রোববার অনুমোদন করেছে কমিশন।

প্রণব ভট্টাচার্য্য বলেন, “গত বছরের ৯ নভেম্বর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জায়গায় নির্মিত বাসা উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন জহুরুল ইসলাম। এ সময় কমিশনের একটি দল তাকে টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।”

ওই দিনই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলাটি কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দীন তদন্ত করেন।