বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের সম্পত্তি রক্ষায় ২০০১ সালে প্রণীত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন নিয়ে আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
“বিভিন্ন জায়গায় যে সাম্প্রদায়িক ‘দুর্ঘটনাগুলো’ ঘটছে তার মূলে সম্পত্তি এবং সম্পত্তি দখল-বেদখলের ব্যাপারটি বোঝার বিষয়।”
আইনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়ার কারণে সমস্যাগুলো হয় বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
“প্রধানমন্ত্রী সব ব্যাপারেই পজিটিভ। তিনি নির্দেশ দেন ঠিকই কিন্তু বাস্তবায়ন হওয়ার ক্ষেত্রে পাল্টে যায়,” বলেন তিনি।
জবাবে মেনন বলেন, “জেলাভিত্তিক মনিটরিং সেল গঠন করে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের বাস্তবায়ন নিয়মিত পরিবীক্ষণের ব্যবস্থা করার প্রস্তাবটি ভালো। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়গুলো উপস্থাপন করব। আপনাদের লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই। এর একটা শেষ জায়গা আদায় করতেই হবে।”
সভার সভাপতি সুলতানা কামাল এ সব বিষয়ে সরকারের ‘উদাসীনতায়’ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আমাদের সাথেই ছিল, দাবিগুলো সম্পর্কে সচেতন ছিল। কিন্তু এরপর থেকে তাদের আচরণে পরিবর্তন আসল।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কাজল দেবনাথ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও কামাল লোহানী উপস্থিত ছিলেন।