বাংলাদেশে অবৈধভাবে টাকা পাঠানোয় দুবাইয়ে ২৫ দোকানকে জরিমানা

মধ্যপ্রাচ্যের শহর দুবাই থেকে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে অবৈধ পথে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোয় ২৫টি দোকানকে জরিমানা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2017, 05:57 PM
Updated : 21 Jan 2017, 06:38 PM

শনিবার দুবাইয়ের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব দোকান মালিককে জরিমানার পাশাপাশি টাকা পাঠানোর কাজে ব্যবহার করা মোবাইল ফোনগুলো জব্দ করা হয় বলে গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় দৈনিক দ‌্য ন্যাশনাল জানায়, এসব দোকান ‘বিকাশ’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে স্বল্প ব্যয়ে প্রবাসীদের টাকা দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগ আগে থেকে এ বিষয়ে অবহিত হয়ে দুবাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা এসব দোকানে অভিযান চালায়। এতে দেখা যায় এসব দোকানের কোনোটিরই সেখান থেকে অন্য দেশে টাকা পাঠানোর অনুমোদন নেই।

এসব দোকান আমিরাত কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে অবৈধভাবে টাকা পাঠানোর কাজ চালিয়ে যেতে বাংলায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিল বলে জানান দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের কমার্শিয়াল কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড কনজুমার প্রটেকশন বিষয়ক প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মেদ আলী রাশেদ লোতাহ।

ন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়, টাকা পাঠানো প্রবাসীদের কোনো রশিদ দেওয়া হত না। দোকানদাররা কাগজের স্লিপে টাকার পরিমাণ ও গ্রাহকের নাম-ঠিকানা বিস্তারিত লিখে ওই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইলেকট্রনিকভাবে টাকা পাঠাত।

যেসব মোবাইল সেট থেকে টাকা পাঠানো হয় সেগুলোতে বাংলাদেশি সিম কার্ড ব্যবহার করে ‘বিকাশ’ নামের ওই অ্যাপটি ইনস্টল করার পর আমিরাতে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে গালফ নিউজ।

মোহাম্মেদ আলী রাশেদ লোতাহ বলেন, “আমরা ওই সব মোবাইল ডিভাইস জব্দ করেছি। ওই সব দোকানের লাইসেন্সে টাকা স্থানান্তরের অনুমোদন নেই এবং এ কাজে আমিরাতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে বাধ্যতামূলক অনুমোদন দরকার তা তাদের নেই।”

এভাবে টাকা পাঠানো আমিরাতের অর্থনীতি ও স্থানীয় ব্যবসার জন্যই নয়, যারা তাদের চটুল অফারে প্রলুব্ধ হয়ে এভাবে টাকা পাঠান তাদের জন্যও ক্ষতিকর বলে মন্তব‌্য করেন আমিরাতের এই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, এসব অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো হলে অর্থ স্থানান্তরের সঠিক তথ্য না থাকার পাশপাশি গ্রাহককে তাদের কষ্টার্জিত টাকা হারানোর ঝুঁকির মধ্যেও থাকতে হয়।

এছাড়া ব্যাংক ও মুদ্রা বিনিময় সংস্থাগুলোও তাদের প্রাপ্য ব্যবসার ভাগ থেকে বঞ্চিত হয়।