শুক্রবার বিকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘রুখে দাঁড়াও সাম্প্রদায়িক হায়েনা’ স্লোগানে গান, কবিতা ও নাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায় সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
সারা দেশের শহীদ মিনারের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি এক যোগে পালন করা হয়েছে বলে আয়োজক পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সমাবেশের শুরুতে ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান, বাংলার মুসলিম/ আমরা সবাই বাঙালি’ এই গান গেয়ে প্রতিবাদ জানায় গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ।
প্রতিবাদী সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, “নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যে হামলা হয়েছিল, আজকে দ্বিতীয় দফায় সেই হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। আমরা এই ঘটনার নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।”
অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “এই হামলা সংবিধানের উপর হামলা, এই হামলা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর হামলা, এই হামলা বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির উপর হামলা।”
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এখন হুমকির মুখে পড়েছে মন্তব্য করেন সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ।
অনতিবিলম্বে এই ঘটনার গভীর তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মফিদুল হক বলেন, “এই আক্রমণ কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের উপর নয়। এই আক্রমণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর। একের পরে এক হামলার মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশকে পথভ্রষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”
এ সময় তিনি হামলাকারীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান সরকারের কাছে।
আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, “যারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার করতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে একের পরে এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।”
এ সময় তিনি সাংস্কৃতিক কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে হামলা প্রতিহত করার আহ্বান করেন।
জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী, চারুশিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী, বাংলাদেশ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান ও পথনাট্য পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান কিরণসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।