বৃহস্পতিবার আইসিসি একাডেমি ওভাল মাঠে প্রথমার্ধে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারানোর পরে পাকিস্তানকে ২১ রানে হারায় দলটি।
বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের অংশগ্রহণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে টসে জিতে বোলিং নিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নেয় ইংল্যান্ড। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করে দলটি। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের পক্ষে অধিনায়ক ইয়ান নাইন ৪০ বল খেলে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৫২ বল খেলে দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ৭৬ রান সংগ্রহ করেন ক্যালাম ফ্লিন।
পাকিস্তানের পক্ষে ২৪ বলে ৫০ রান করেন রেহান মির্জা। ২১ বলে ২৯ রান করে দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী নিহার আলম। এর বাইরে জাহানজীব ১৭ রান এবং আদিল আব্বাসী ১৫ রান করেন।
পাকিস্তানের পক্ষে আব্দুল্লাহ ইজাজ ৩ উইকেট এবং নেহার আলম ১ উইকেট নেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে জোশ মিড ২ উইকেট, ডেনিয়েল রেনাল্ডো ১ উইকেট, ফ্রেড ব্রিজেস ২ উইকেট এবং ক্যালাম ফ্লিন ২ উইকেট নেন।
দুটি ছয় এবং ১০টি চারসহ ৭৬ রান এবং বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন ইংল্যান্ডের ক্যালাম ফ্লিন।
ফাইনালের আগে প্রতিটি দলই অন্য দুই দলের বিপক্ষে দুটি করে মোট চারটি ম্যাচ খেলবে। আগামী ২৪ অক্টোবর শারজায় ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে প্রথমবারের মতো গত বছর ঢাকায় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আসর বসে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) আয়োজনে। টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ছাড়াও ভারত ও আফগানিস্তান অংশ নেয়।
আইসিআরসি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ওই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দল নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১৪ রানে হারিয়ে দারুণ সূচনা করেছিল। তবে পরদিনই বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ২০ রানে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায়। ওই প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
সফল সেই আয়োজনে সুখস্মৃতি থেকেই দুবাইয়ে ‘আইসিসি একাডেমি ফিজিকাল ডিজেবিলিটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট’ শিরোনামে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। বাংলাদেশ দলকে এবারও সহযোগিতা দিচ্ছে আইসিআরসি।