আঞ্জুমান কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে নয়জনের মৃতদেহ তারা দাফন করেন।
এর আগে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আঞ্জুমানের কাছে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয় বলে ঢাকা মেডিকেলে কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান।
দুই মাস আগে সোয়াট বাহিনীর অভিযানে নিহত এসব জঙ্গির লাশ এ হাসপাতালের হিমঘরে ছিল।
চিকিৎসক সোহেল বলেন, “মৃতদেহগুলো থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্য কোনো সংস্থার প্রয়োজন হতে পারে, সেটা মাথায় রেখে অতিরিক্ত নমুনাও রাখা হয়েছে।”
গুলশান হামলার ২৬ দিনের মাথায় কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘তাজ মঞ্জিল’ নামের একটি ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় এই নয়জন।
তাদের মধ্যে আটজনের আঙলের ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে মিলিয়ে তাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান জানান, বাকি একজনের পরিচয় সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। পরিবার লাশ নিতে যোগাযোগ না করায় বেওয়ারিশ হিসেবেই তাদের দাফন করা হয়েছে।
দাবিদার না থাকায় জুলাইয়ে গুলশানের ক্যাফেতে নিহত পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জনের লাশও গত ২২ সেপ্টেম্বর আঞ্জুমানের মাধ্যমে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্বজনদের কেউ লাশের দাবি নিয়ে না এলে হাসপাতালে থাকা বাকি জঙ্গিদের লাশও একইভাবে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আগেই জানিয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, তাদের মরচুয়ারিতে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় নিহত তিনজন এবং ঢাকার রূপনগর ও আজিমপুরে নিহত দুই জঙ্গির লাশ রয়েছে।