ছয় দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার একদিন আগে সোমবার ওবায়েদকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
মহানগর হাকিম আহসান হাবিব তার নিজের কামরায় ওবায়েদের জবানবন্দী নেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্তা এসআই মিজানুর রহমান জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “জবানবন্দীতে ওবায়েদ হত্যার পূর্বাপর সবিস্তার বর্ণনা করে নিজেকে হত্যাকারী হিসেবে স্বীকার করেন।”
ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিশা (১৪) গত ২৪ অগাস্ট স্কুলের সামনের ফুটওভারব্রিজে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে আহত হয়। তিনদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় রিশার মা তানিয়া বেগম রমনা থানায় একটি মামলা করেন, যাতে এলিফ্যান্ট রোডের বিপণি বিতান ইস্টার্ন মল্লিকার বৈশাখী টেইলার্সের কর্মী ওবায়েদকে আসামি করা হয়।
পুলিশকে দেওয়া তানিয়া বেগমের ভাষ্য হচ্ছে- কয়েক মাস আগে বৈশাখী টেইলার্সে একটি জামা বানাতে দিয়ে যোগাযোগের জন্য সেখানে তিনি নিজের ফোন নম্বর দিয়েছিলেন। সেই থেকে ওবায়েদ ওই নম্বরে ফোন করে প্রায়ই রিশাকে বিরক্ত করছিলেন।
ওবায়েদই সেদিন রিশাকে ছুরি মারেন বলে তানিয়া বেগমের ধারণা।
রিশার হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে উইলসের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ৩১ অগাস্ট সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনারায় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে ছয়দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ।