পুলিশ ও র্যাব দুই পক্ষই ২৯ বছর বয়সী ওই যুবককে আটকের কৃতিত্ব দাবি করেছে।
র্যাব-১৩ দিনাজপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের একটি দল বুধবার সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনারায় গ্রাম থেকে ওবায়েদকে আটক করে।
অন্যদিকে নীলফামারীর সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলছেন, ডোমার উপজেলার সোনারাই বাজার থেকে পুলিশের একটি দল ওবায়েদকে আটক করেছে।
ঢাকায় পুলিশ ও র্যাব সদরদপ্তর থেকেও এ বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
ওই ঘটনায় রিশার মা তানিয়া বেগম রমনা থানায় একটি মামলা করেন, যাতে এলিফ্যান্ট রোডের বিপণি বিতান ইস্টার্ন মল্লিকার বৈশাখী টেইলার্সের কর্মী ওবায়েদকে আসামি করা হয়।
তানিয়া বেগম পুলিশকে বলেছেন, কয়েক মাস আগে বৈশাখী টেইলার্সে একটি জামা বানাতে দিয়ে যোগাযোগের জন্য সেখানে তিনি নিজের ফোন নম্বর দিয়েছিলেন। সেই থেকে ওবায়েদ ওই নম্বরে ফোন করে প্রায়ই রিশাকে বিরক্ত করে আসছিলেন।
ওবায়েদই সেদিন রিশাকে ছুরি মেরেছিল বলে তানিয়া বেগমের ধারণা।
ওবায়েদের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জে। ঢাকায় তার সন্ধান না পেয়ে রমনা থানা পুলিশ সোমবার রাতে বীরগঞ্জ থানার সহযোগিতায় মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামের বাড়ি থেকে ওবায়েদের বোন খাদিজা বেগম (৩৬) ও ভগ্নিপতি খাদেমুল ইসলামকে (৪৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।