বাংলাদেশের ভালোতে বিশ্বাস করি: ররি স্টুয়ার্ট

বিনিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশকে ‘নিশ্চিন্ত’ থাকার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ররি স্টুয়ার্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2016, 12:12 PM
Updated : 29 August 2016, 03:16 PM

তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগে কোনো হেরফের হবে না। সন্ত্রাসী হামলা এতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।”

সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিন মিরপুরের একটি স্কুলে পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য আসে ব্রিটিশ মন্ত্রীর কাছ থেকে।

ররি স্টুয়ার্ট বলেন, “আমরা বাংলাদেশের ভালোতে বিশ্বাস করি; এর রয়েছে চমৎকার ভবিষ্যৎ এবং অর্থনীতি এগোচ্ছে শক্ত ভিত্তি নিয়ে। এটি উন্নয়নের দিক থেকে এশিয়ার অন্যতম সফল গল্পের দেশ। আমরা সত্যিকারভাবে আপনাদের সহায়তা অব্যাহত রাখতে চাই।

“সুতরাং এখানকার কোনো কর্মসূচিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না এবং আমরা আরও সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকাচ্ছি।”

বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে শিক্ষা-স্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন এবং কারখানায় শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে ব্রিটেন। দুই দেশের রয়েছে অনেক বড়, ঘনিষ্ঠ এবং দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। পাশাপাশি কয়েক লাখ বাংলাদেশিও বাস করেন ব্রিটেনে।”

যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি পরিচালিত ‘ইংলিশ ইন অ্যাকশন’ প্রকল্পের আওতায় থাকা মিরপুরের ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিল স্টুয়ার্টের এই পরিদর্শন।

বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে একটি শ্রেণিকক্ষে খুদে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি জ্ঞানের খোঁজখবর করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অতিথি অধ্যাপক।

শ্রেণিকক্ষে কাটানো সময়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে দুই ব্রিটিশ যুবরাজ উইলিয়াম ও হ্যারির সাবেক গৃহশিক্ষক স্টুয়ার্ট বলেন, “এটা অসাধারণ পরিদর্শন। স্কুলটিও নিশ্চিতভাবে চমৎকার। শিক্ষার্থী-শিক্ষকের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ায় আমি অভিভূত। তাদের রয়েছে ভালো মানের ইংরেজি জ্ঞান এবং শিক্ষার্থীদেরও কথা বলতে আগ্রহী দেখা গেছে।

“সাধারণত শিক্ষকরা ক্লাসে বলেন, আর শিক্ষার্থীরা শুনে। এখানকার শিক্ষার্থীরা সাবলিল। আমার বিশ্বাস এটা অনেক ভালো স্কুল এবং তারা বাংলাদেশের গর্বিত ছাত্র-ছাত্রী।”

বিদ্যালয়টির ইংরেজির শিক্ষক রেবেকা সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০১২ সাল থেকে আমাদের এখানে ‘ইংলিশ ইন অ্যাকশন’ প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে। প্রকল্পের আওতায় আমরা শিক্ষকরা বিভিন্ন গেইম, ছবিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভিন্ন আঙ্গিকে ইংরেজি শিক্ষাদানের বিষয় জেনেছি। সেটার আলোকে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়।”

তিনি বলেন, “উনি (ব্রিটিশমন্ত্রী) বিভিন্ন ইংরেজি শব্দ বোর্ডে লিখে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চেয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীরা উত্তর দিয়েছে। আবার তারা বাংলাদেশে আসার অভিজ্ঞতার বিষয় জানতে চেয়েছে মন্ত্রীর কাছে।”

ঘণ্টাব্যাপী এই পরিদর্শনের শেষাংশে শিক্ষকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন ররি স্টুয়ার্ট।

এ সময় তার সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক, ডিএফআইডি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর জেম এডমন্ডসনও উপস্থিত ছিলেন।