‘অচলাবস্থা’ নেই সদরঘাটে, যাত্রীবাহী লঞ্চ চলছে

মজুরি বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে সারাদেশে নৌশ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের পঞ্চম দিনেও ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে আগের দিনের মতোই যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2016, 06:10 AM
Updated : 27 August 2016, 07:01 AM

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ৩৭টি লঞ্চ শনিবার সকালে সদরঘাটের বিভিন্ন জেটিতে ভিড়েছে। আর টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে পাঁচটি লঞ্চ।

মাসিক ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা মজুরি, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ পুনঃনির্ধারণ, নৌপথে সন্ত্রাসী-ডাকাতি -চাঁদাবাজি বন্ধ ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে দেশের সবগুলো নদীবন্দরে ধর্মঘটের ডাক দেয় নৌযান শ্রমিকরা।

ধর্মঘটের মধ্যেও সারাদেশের লঞ্চ যোগাযোগ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

সংস্থাটি বলছে, ধর্মঘটের প্রথম দিন মঙ্গলবার সকালে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও দুপুরের পর থেকে লঞ্চ চলাচল আবার শুরু হয়।এরপর প্রতিদিনই সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চের সংখ্যা বাড়ছে।

বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুক্রবার সদরঘাট থেকে ৫৮টি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

“ছেড়ে যাওয়া লঞ্চের হিসাবে বৃহস্পতিবার সদরঘাটের পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। এদিনও মোট ৫৮টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে, ভিড়েছে ৪২টি।”

শনিবার সকালে বরিশাল, সুরেশ্বর, মুলাদী ও চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে দুটিসহ মোট পাঁচটি লঞ্চ ছেড়েছে এবং আরও কয়েকটি ছাড়ার অপেক্ষায় থাকার কথা জানান তিনি।

পরিস্থিতি উত্তরণে বৃহস্পতিবার শ্রম পরিদপ্তরের পরিচালক আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন সংস্থার নেতাদের বৈঠক হলেও সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

সরকার ও লঞ্চ মালিকদের এ বৈঠকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আমিনুল ইসলামও ছিলেন।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় একই স্থানে সরকারের প্রতিনিধি এবং মালিক ও শ্রমিকদের সমবেত হওয়ার আহ্বান জানানো হলেও মালিকরা যাননি। পরে সরকারের প্রতিনিধি ও আন্দোলনকারী শ্রমিকদের মধ্যে বৈঠক হয়।

বৈঠকের পর ‘কাঙ্ক্ষিত মজুরি’ না পেলে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক অহেজুল ইসলাম বুলবুল।

যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলে কোনো ছাড় দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে বুলবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। মালিকপক্ষ সন্ত্রাসী কায়দায় কম কর্মচারী দিয়ে লঞ্চ চালাচ্ছে।

“একটি লঞ্চে ১৫ জনের মতো লোকবল থাকার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ চার থেকে পাঁচজন লোক দিয়ে লঞ্চ চালাচ্ছে।”

তবে কোনো পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করছে না বলে তিনি জানান।