অংশীদারিত্ব জোরদারে নজর দেবেন কেরি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি তার ঢাকা সফরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ‌্যকার ‘দীর্ঘস্থায়ী ও বিস্তৃত সম্পর্ক’ আরও জোরদার করায় গুরুত্ব দেবেন বলে জানিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2016, 03:55 AM
Updated : 25 August 2016, 03:55 AM

বুধবার তাদের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২৯ অগাস্ট সোমবার ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফরে বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের ‘ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা’ নিয়েও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন কেরি।

“তিনি (কেরি) গণতন্ত্র, উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার বিষয়ে দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেবেন”, বিবৃতিতে জানায় স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

সাড়ে তিন বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এবারই প্রথম বাংলাদেশে আসছেন জন কেরি। তার এই সফরকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বাংলাদেশও।

বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের খবর জানাতে গিয়ে ‘উচ্ছ্বাস’ প্রকাশ করেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত কি না- জানতে চাইলে মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, “হ‌্যাঁ। তিনি আসছেন ২৯ অগাস্ট। অনেক দিন ধরে তার আসার কথা ছিল। তিনি আসছেন; আমরা আনন্দিত।”

কেরির সফরে সম্পর্কের সব দিক নিয়ে, বিশেষ করে বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হবে বলে মন্ত্রী জানান।

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মি নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে প্রেসিডেন্ট ওবামার পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন তিনি।

২৯ অগাস্ট এসে ওই দিনই কেরি নয়া দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের কৌশলগত ও বাণিজ্যিক আলোচনায় অংশ নিতে ঢাকা ছাড়বেন।

সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জন কেরি। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।

গুলশানে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল বাংলাদেশ ঘুরে যান। পরে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশেষায়িত জ্ঞান’ দিয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন তিনি।

গত জুনে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ‘অংশীদারিত্ব সংলাপে’ আইএস ও আল-কায়েদার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয় দুই দেশ।

পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্টারটেররিজম পার্টনারশিপস ফান্ডেও (সিটিপিএফ) বাংলাদেশের যোগ দেওয়ার ঘোষণা আসে।