নিষিদ্ধ হচ্ছে আনসার আল ইসলাম

আনসার আল ইসলামকে নিষিদ্ধ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাম্প্রতিক গুপ্ত হত‌্যার কয়েকটি ঘটনায় এই জঙ্গি সংগঠনটিকে দায়ী করা হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2016, 11:49 AM
Updated : 24 August 2016, 12:05 PM

আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নিষিদ্ধ হওয়ার পর এর সদস‌্যরা আনসার আল ইসলাম নামে তৎপরতা চালিয়ে আসছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বুধবার ডিএমপিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা আনসার আল ইসলাম সংগঠনটি নিষিদ্ধের জন্য (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে) আবেদন করব। আশা করি, সংগঠনটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হবে।”

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা নেটওয়ার্কের ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ আনসার আল ইসলাম নিজেদেরকে ওই সংগঠনের বাংলাদেশ শাখা হিসেবে দাবি করে।

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের সাম্প্রতিক উত্থানের বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যার মধ্য দিয়ে।

ওই হত‌্যামামলায় দোষি সাব‌্যস্ত হয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আমির মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানী কারাভোগ করছেন।

মনিরুল বলেন, “একসময় আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে একটি ফেইসবুক গ্রুপ ছিল। তারা অনলাইনে প্রচার-প্রচারণা চালাত। এই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমই পরে আনসার আল ইসলাম নামে আত্মপ্রকাশ করে, যারা বাংলা টিমের ব্যানারে কাজ করতেন, তারা আনসার আল ইসলামে কাজ করা শুরু করেন।”

সংগঠনটির কাজের ধারার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, “এই সংগঠনের শীর্ষ পদের নাম সমন্বয়ক। এর তিনটি বিভাগ রয়েছে। তাদের প্রথমটি হল দাওয়া বিভাগ। এই বিভাগে লজিস্টিক ও রিক্রুটমেন্ট দেখা হয়। দ্বিতীয়টি হল আশকারি বিভাগ। সেখানে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তৃতীয়টি হল গণমাধ্যম শাখা। এটি আইটি এক্সপার্টরা পরিচালনা করে থাকেন। সমন্বয়কের কাজ এই তিনটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করা।”

এছাড়া ‘অপারেশনের’ জন‌্য আরও দুটো বিভাগ রয়েছে বলে জানিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, “এগুলো হল মাশুল এবং মামুর। কোনো অপারেশন পরিকল্পনা ও পরিচালনার কাজটি দেখে মাশুল বিভাগ। আর অপারেশনে যারা অংশগ্রহণ করে সেই সদস্যরা মামুর বিভাগের অধীনে থাকে।”

জঙ্গি সংগঠন হিসেবে গত বছর নিষিদ্ধ হয় আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। তার আগে দুই ধাপে নিষিদ্ধ করা হয় হিযবুত তাহরীর, জেএমবি, জেএমজেবি, হুজি ও শাহদাৎ-ই আল হিকমা।

গুলশান হামলার জন‌্য পুলিশ জেএমবিকে দায়ী করলেও আরও কয়েকটি ঘটনায় আনসারুল্লাহ কিংবা আনসার আল ইসলামের সম্পৃক্ততার কথা জানায় পুলিশ।

অপ্রকাশ‌্যে থেকে হিযবুত তাহরিরের নানা প্রচার দেখা যায়। হুজিসহ অন‌্যগুলোর তৎপরতা এখন দেখা যাচ্ছে না।