দুর্ঘটনায় আহতদের ‘সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দিন’

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীকে পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2016, 06:03 PM
Updated : 23 August 2016, 06:03 PM

তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহতের ধরন দেখে প্রয়োজনে রোগীকে সংশ্লিষ্ট সরকারি হাসপাতালে পাঠানো যাবে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য সচিব।

আদালতের এক আদেশের প্রেক্ষাপটে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের সাহায্যের জন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ সভা হয়।

রাজধানীর বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বেশকয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে কোনো চিকিৎসা না পাওয়ার পর সবশেষে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক আহত ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আহত ব্যক্তি নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা না পাওয়ার ঘটনায় সাইফুদ্দিন কামাল নামে এক ব্যক্তি জনস্বার্থে হাই কোর্টে রিট করেছিলেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় সাধারণত পুলিশ ‘কেইস’ হয়। তাই অনেক বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আহত রোগীদের চিকিৎসা না নিয়ে সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির ধরন যাই হোক না কেন? যে কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক আহত রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠালে রোগীদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে যায়।”

দুর্ঘটনায় পুলিশ কেইসের বিষয়ে সভায় উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আহত রোগীকে সরকারি হাসপাতালে পাঠাতে হবে তা ঠিক নয়। পুলিশের তদন্তের প্রয়োজনে কোনো বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালের কেউ সাক্ষী হবে, এতে ঝামেলা কী?

“সুতরাং রোগীর সেবা বঞ্চিততো করা যাবে না; যার যার কাজ… সে সে করবে। এখানে মোটিভেশন দরকার।”

সভা থেকে উচ্চ আদালতে নির্দেশনা অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিতে একটি খসড়া নীতিমালা করা হয়। আগামীতে এই খসড়া নীতিমালা পরিশীলিত করে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

সচিব বলেন, “আমাদের মধ্যে মানবিকতা ও সহিষ্ণুতা জাগ্রত করা দরকার। এই মানবিকতা ও সহিষ্ণুতার কিভাবে বাড়ানো যায়? আমাদের মনে হয় সহিষ্ণুতার লেভেল অনেক কমে গেছে এবং মানবিকতার লেভেলও হয়তো একটু কমে গেছে।”

আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়েজ আহমেদ বক্তব্য দেন।

এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) সামিউল ইসলাম সাদী, শমরিতা হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এবিএম হারুন, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়াসহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।